বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নবম বারের মত বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি(সিআইপি) সম্মাননা গ্রহন করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান।
বৃহস্পতিবার ১৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে শিল্প মন্ত্রনালয় কর্তৃক প্রদত্ত সিআইপি(শিল্প)-২০১৬ এর সম্মাননা কার্ড এমপি সেলিম ওসমানের হাতে তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে সিপআইডি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন)।
সিআইপি সম্মাননা কার্ড গ্রহনের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সেলিম ওসমান বলেন, বর্তমান সরকার শ্রম অসন্তোষ শূন্যের কোটায় নামিয়ে নিয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্ব ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। পোষাক শিল্পে যখনই কোন ক্রান্তি লগ্ন দেখা দিয়েছে তখনই প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সমস্যার সমাধান করেছেন এবং আমাদেরকে সমানে এগিয়ে যাওয়া সাহস জুগিয়েছেন। পোষাক শিল্পে তৃতীয় একটি পক্ষ বারবার সমস্যা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে কিন্তু প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় আমরা সফলভাবে সমস্যার মোকাবেলা করেছি।
তিনি আরো বলেন, গত দশ বছরে পোষাক শিল্প ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং নীট ও পোষাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। এ অর্জন সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের শ্রমবান্ধব ও ব্যবসা বান্ধব নীতি সহযোগিতা প্রদান করার জন্য। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, এমপি মহোদয়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সামনে নির্বাচন, তাই শেখ হাসিনার সরকারকে পুনরায় নির্বাচনে জয়লাভ করিয়ে শিল্পের ধারাবাহিক উন্নয়ন অব্যহত রাখুন।
পরিশেষে তিনি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, এমপি ও তাঁর মন্ত্রণালয়কে এধরণের একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিআইপি (শিল্প) নির্বাচিত শিল্পদ্যোক্তাদের মাঝে কার্ড বিতরণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, একেএম সেলিম ওসমান, এমপি ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো সিআইপি (বাণিজ্য) সম্মাননা পান। এরপর ২০১২, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ সালে বাণিজ্য ও শিল্প মিলিয়ে সর্বমোট নয় বার সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদায় ভূষিত হন তিনি। ২০১৫ সালে তিনি সিআইপি (শিল্প) ও সিআইপি (ট্রেড) উভয়ের জন্য মনোনীত হন। কিন্তু সিআইপি (রপ্তানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুসারে – কোন ব্যক্তি একই সাথে সিআইপি (ট্রেড), সিআইপি (এনআরবি) ও সিআইপি (শিল্প) নির্বাচিত হলে যে কোন একটির জন্য তাকে সিআইপি নির্বাচিত করা হবে। এই হিসাবে তিনি ২০১৫ সালে সিআইপি (শিল্প) পদক গ্রহণ করলেও সিআইপি (ট্রেড)এর পদক গ্রহণ করতে পারেননি।
উল্লেখ্য যে, সিআইপি সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীগণ বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রবেশ পাশ ও গাড়ির স্টিকার প্রাপ্তি, জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল/সিটি কর্পোরেশনের নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ প্রাপ্তি, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন। এছাড়া ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেটার অব ইনট্রোডাকশন প্রাপ্তি, স্ত্রী পুত্র কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন প্রাপ্তির অগ্রাধিকার এবং বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পেয়ে থাকেন তারা।
উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে কার্ড গ্রহণ করেন জনাব আবদুল মাতলব আহমাদ (এফবিসিসিআই), এ.কে. আজাদ (বিসিআই), মোঃ সিদ্দিকুর রহমান (বিজিএমইএ), তপন চৌধুরী (বিটিএমএ), রূপালী হক চৌধুরী (এফআইসিসিআই) প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।