বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
কবি নজরুলের ১২২ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বন্দর মদনগঞ্জে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট পরিচালিত বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম পাঠাগারের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পাঠাগারের সভাপতি ফাতেমা আক্তার মুক্তার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কবি ও লেখক রঘু অভিজিৎ রায়, পাঠাগারের উপদেষ্টা বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ফোরামের সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সুলতানা আক্তার, বন্দর থানার সভাপতি মুন্নি সরদার, পাঠাগারের সদস্য সচিব রাকিবুল হাসান রবিন। পরে পাঠাগারের সদস্যরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা রাখেন। র প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলার সভাপতি সুলতানা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসাইন, অর্থ সম্পাদক মুন্নি সরদার, সংগঠক ফয়সাল আহম্মেদ রাতুল, রাকিবুল ইসলাম রবিন প্রমূখ
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের দেশের বর্তমান বাস্তবতায় কবি নজরুলকে স¥রণ খুবই জরুরি। ব্রিটিশ পরাধীনতার আমলে শোষণ-বঞ্চনা, সাম্প্রদায়িকতা, আপসকামিতা, নারী নিগ্রহ, সামাজিক অবক্ষয়সহ সমস্ত সংকটে নজরুল কলম ধরেছিলেন। নজরুল ছিলেন কবি, উপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, সুরকার, সংগীতকার, সংগীত শিল্পী, নাট্যকার, অভিনেতা। শিল্প সাহিত্যের প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রে তার শক্তিশালী বিচরণ ছিল। কিন্তু শুধুমাত্র শিল্পের জন্যই শিল্পের চর্চা তিনি করেননি। বরং মানুষ তথা মানবতার সংকট থেকে মানুষকে মুক্তি দিশা দিতেই তিনি এসবের চর্চা করেছেন। ফলে প্রতিক্্িরয়ার আক্রমণ তাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। লিখার জন্য ব্রিটিশ সরকার তাকে জেলে পুরেছেন। কিন্তু মানবতাকে রক্ষায়, দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে তিনি পিছপা হননি।
নেতৃবৃন্দ বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তির পরেও আমাদের দেশের জনগণ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। ভোটহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারের জবরদস্তির শাসন জনগণকে দেখতে হচ্ছে। সমাজব্যাপী চলছে হত্যা, ধর্ষণ, দুর্নীতি, লুটপাট। চলছে যুব সমাজে মাদক,অপসংস্কৃতির চর্চা। বিচারহীনতার কারণে পার পেয়ে যাচ্ছে সরকার দলীয় আশ্রয় প্রশ্রয়ে থাকা অপরাধীরা। বরং অন্যায়ের প্রতিবাদকারীদের নিগ্রহের জন্য সরকার স্বৈরাচারী আইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি করেছেন। যার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিক, লেখক, শিল্পী, রাজনীতিকরা। আজকের প্রেক্ষাপটে ছাত্র যুব সমাজের মধ্যে নজরুলের শিক্ষা খুবই প্রাসঙ্গিক।