খেলাধূলাডেস্ক,বিজয় বার্তা ২৪
মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বেই ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে গেছেন তিনিই। তার নেতৃত্বে আইপিএলের আট আসরের ছয়বারই ফাইনাল খেলেছে চেন্নাই, চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দুবার। সেই চেন্নাই নেই, ধোনিও যেন অচেনা!
আইপিএলের চলতি আসরে ১১ ম্যাচের ৮টিতেই হেরে প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে ধোনির নেতৃত্বে খেলা টুর্নামেন্টের নতুন দল রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টস। এমন অভিজ্ঞতা আইপিএলে আগে কখনো হয়নি ধোনির!
ধোনি কিন্তু এবারের আইপিএল অভিযানটা জয় দিয়েই শুরু করেছিলেন। এর পরই টানা চার ম্যাচে হেরে বসে তার দল। অধিনায়ক হিসেবে আইপিএলে ধোনির টানা চারটি ম্যাচ হারের ঘটনাও এটাই প্রথম।
ষষ্ঠ ম্যাচটা জিতে খানিকটা লড়াইয়ে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল ধোনির দল। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে আবার টানা হেরে বসে তারা। নবম ম্যাচ জিতলেও দশম ম্যাচে বেঙ্গালুরুর কাছে হারের পর মঙ্গলবার হায়দরাবাদের বিপক্ষেও হেরে প্লে-অফের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে পুনের।
হায়দরাবাদের বিপক্ষে জিতলে তাও গাণিতিকভাবে প্লে-অফের আশা বেঁচে থাকত ধোনিদের। লক্ষ্যমাত্রাটাও ছিল মাত্র ১৩৮ রানের। শেষ ওভারে সমীকরণটা ছিল ১৫ রানের, যা শেষ তিন বলে দাঁড়ায় ১২ রানে।
ধোনিই তখন স্ট্রাকিংয়ে ছিলেন। আশিস নেহরার চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে আশাও জাগিয়েছিলেন পুনে অধিনায়ক। কিন্তু পঞ্চম বলে ২ রান নিতে গিয়ে ধোনি রানআউটে কাটা পড়লে পুনেও ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়, শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হারে ৪ রানে।
তিন ম্যাচ বাকি থাকতেই প্লে-অফের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল পুনের। বাকি তিনটি ম্যাচ এখন তাদের জন্য শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।
এবারের আইপিলে এমন ধারাবাহিক ব্যর্থতার জন্য অবশ্য ‘ইনজুরি’কেও দায়ী করতে পারেন ধোনি। মাত্র ৯ দিনের মধ্যে যে তাদের চার-চারজন বিদেশি খেলোয়াড় ইনজুরি নিয়ে আইপিএল থেকে ছিটকে পড়েন! কিন্তু তাই বলে দল যে এভাবে বিদায় নেবে সেটা হয়তো ধোনিও ভাবেননি!