স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সব টাকা দেশের মানুষের কষ্টার্জিত অর্থে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কারো আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা এতে নেই।
বুধবার দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে সুনামগঞ্জ-৪ আসনের পীর ফজলুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ বাংলার মানুষের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ সহজ করা এবং বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সড়ক নেটওয়ার্কে যুক্ত করার লক্ষ্যে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পে ব্যয় হবে মোট ২৮ হাজার ২৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। প্রকল্পের সব টাকা বাংলাদেশের মানুষের অর্জিত অর্থ। কারো আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা এতে নেই। এর প্রতিটি রড, ইট, পাথর, সিমেন্ট আমাদের জনগণের টাকায় কেনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ হাতে নেয়। বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বব্যাংকের আনীত অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দম কমিশন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে। দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে কথিত দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়। পরবর্তীকালে বিশ্বব্যাংক একপর্যায়ে এ প্রকল্পে পুনরায় ফিরে আসার ঘোষণা দিলেও নতুন নতুন শর্ত আরোপ করে দীর্ঘসূত্রতার পথ অবলম্বন করায় আমরা দেশ ও জনগণের স্বার্থে তাদের ঋণ নেইনি।
পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সন্তোষজনক ভাবে এগিয়ে চলছে এবং ২০১৮ সাল নাগাদ এ সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে সংসদকে জানান তিনি।