স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
১৪ মে জাতীয় কাউন্সিলের পর জাতীয় পার্টি দেশবাসীকে নতুন রাজনীতি উপহার দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পাটি কাউন্সিলের মাধ্যমে দেশে নতুন জাগরণ সৃষ্টি করবে। দেশবাসীর জন্য নতুন রাজনীতি নিয়ে আসবে। সেই রাজনীতি হবে মানুষের জন্য। মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেই আগামীতে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় যাবে।’
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীতে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহাগনর দক্ষিণের পরিচিতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আসন্ন কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টি শক্তিশালী হবে। সেই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। সারা ঢাকায় জাতীয় পার্টির রব উঠবে।
নেতা-কর্মীদের সঠিক রাজনৈতিক চর্চার পাশাপাশি আসন্ন কাউন্সিল সফল করার আহ্বান জানান এবং যারা দলের জন্য কাজ করছেন তাদের মূল্যায়ন করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
কাদের বলেন, সঠিক রাজনীতির মাধ্যমে জাতীয় পার্টি এগিয়ে যাবে। সেই জাতীয় পার্টির মালিক হবে জনগণ, কোনো ব্যক্তি বিশেষ নয়।
দলের মহাসচিব এবি এম রুহুল আমীন হাওলাদার নেতা-কর্মীদের কাউন্সিল সফল করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, পল্লীবন্ধু ডাক দিয়েছে তোমরা কাউন্সিলে আসো। তোমরা আসলে কাউন্সিল সফল হবেই।
তিনি আরো বলেন, পল্লীবন্ধু নিজেই মাঠে ময়দানে ঘুরে দলকে সংগঠিত করছেন। জাতীয় কাউন্সিলের জন্য রাতদিন পরিশ্রম করছেন। তিনি নিজেই কাউন্সিলের সব তদারকি করছেন। তার নেতৃত্বে কাউন্সিল সফল হবে। আল্লাহ তাকে দীর্ঘায়ু করুক।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, জাতীয় পার্টি দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। পল্লীবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা এখন অন্য বড় দলের চেয়েও শক্তিশালী। দলকে সংগঠিত করে পল্লীবন্ধুর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টিকে আগামীতে ক্ষমতায় নিয়ে যাবার আহ্বান জানান তিনি।
সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, ইকবাল হোসেন রাজু, গোলাম মোহাম্মদ রাজু, আরিফ খান, মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জহিরুল আলম রুবেল, মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদিকা অনন্যা হোসেন মৌসুমী, মহানগর নেতা শেখ মাসুক রহমান, সুজনদে, জাহাঙ্গির আলম, মাহবুবুর রহমান খসরু প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন দলের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
সভায় বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে মিলন মেলায় পরিণত হয়। অনুষ্ঠান শেষে নেতা-কর্মীদের জন্য ‘বিশেষ মেজবানের’ আয়োজন করা হয়।