স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
সরকার দেশকে ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তেল, গ্যাস, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে দেশের সম্পদ ভাগ করে দিচ্ছে।’
রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তেল, গ্যাস, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি দাবি করেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনে হলে ভারতের কৌশলগত স্বার্থ রক্ষা হবে।’
তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা ভারতের সঙ্গে এমন প্রকল্পের চুক্তি করেও, দেশের স্বার্থে সেই প্রকল্প বাতিল করেছে তারা। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করে সেই শক্তি সঞ্চার করবে এবং তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নেবেন।’
চীন ও ভারত এখন জনবিধ্বংসী বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গ্যাসভিক্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সবচেয়ে ঝুঁকি কম দাবি করে অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশের বঙ্গপোসাগরে যেসব গ্যাস আছে, তা শতভাগ যেন দেশের হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সে সাথে বিদেশি কোম্পানি থেকে গ্যাস নিজেদের অধীনে নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করতে হবে। আর সুন্দরবন ধ্বংসকারী প্রকল্প বাতিল করতে হবে।’
এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারত যৌথভাবে এই রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাতিল করবে।’
জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা বাঁশখালী, রুপপুর ও রামপালের মতন জনবিধ্বংসী প্রকল্পের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। কারণ আমাদের ভরসা হচ্ছে জনগণের কণ্ঠস্বর।’
গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এস আলম গ্রুপের বিজ্ঞাপনের কাছে আপনারা বিক্রি হবেন না। কারণ যেদিন থেকে পত্রিকায় এস আলম গ্রুপের বিজ্ঞাপনে পাতা ভরে গেছে, সেদিন থেকে বাঁশখালীর ঘটনা পত্রিকায় আসা বন্ধ হয়েছে।’
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, ব্যারিস্টার জৌতির্ময় বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য রুহীন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি মিছিলও করা হয়।