বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় জঙ্গী আস্তানা সন্দেহে একটি ৪ তলা বাড়ীতে অভিযান চালিয়েছে
এন্টিটেররিজম ইউনিটসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। এসময় ভবনের ৩য় তলা থেকে তিনটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে এবং পরে এগুলো নিস্ক্রিয় করা হয়।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে উপজেলার বরপা আড়িয়াবো এলাকার সৌদী প্রবাসী জাকির হোসেনে বাড়িতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পরে দুপুর দেড়টার দিকে বাড়িতে প্রবেশ করে অভিযান শুরু করে সোয়াত ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) সদস্যরা। বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাড়িত ভেতর ১ টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বাকী দুটি বোমা উদ্ধার করে বিকাল সাড়ে তিনটায় ১ টি ও বিকাল সাড় ৪ টায় অপরটি বাড়ির পাশের একটি বালুর মাঠে খোলা স্থানে মাটি খুঁড়ে পুতে রাখাা হয়। পরে তা বিস্ফোরণের ঘটিয়ে নিস্ক্রিয় করা হয়। বাড়ির বাইরে বিস্ফোরণকৃত বোমা দুটি বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের এক সদস্যকে একটি লাল বালতিতে বহন করে নিয়ে খোলা স্থানের মাঠে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া এটিইউ পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ভেতরে অভিযান চালিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তিনটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো নিরাপদে বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিস্ক্রিয় করা হয়েছে।
বাড়িটিতে অভিযানের কারণ জানিয়ে তিনি আরও জানান, গত ৮ ও ৯ জুন নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর তথ্যমতে গত সোমবার কক্সবাজার থেকে এক নারী জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যেই এইট দি;নে রূপগঞ্জের বরপা আরিয়াব এলাকায় চারতলা ওই বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়। এই বাড়িতে একজন বোমা বিশেষজ্ঞ বসবাস করেন।
অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মাহফুজুল আলম রাসেল জানান, ভবনটির তৃতীয়তলায় নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন-চারজন সদস্য অবস্থান করছেন এমন গোপন তথ্য পেয়ে সেখানে অভিযানে চালানো হয়।
এদিকে অভিযানের আগে বাড়ির সব সদস্যদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। বাড়িটির গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বাইরে বোমা বিস্ফোরণের পর এর ভেতরে প্রবেশ করেন অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও নারায়ণগঞ্জ পুলিশের কর্মকর্তারা।
স্থানীয় এলাকাবাসি জানান, ঐ ফ্ল্যাটের তিনতলায় একজন তার পরিবার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করতো। তবে তাকে দেখে জঙ্গী মনে হয়নি। একজন প্রতিবেশীর সাথে তার কথা হলে তিনি জানান চট্টগ্রামে চাকরী করতেন। রূপগঞ্জে চাকরী খোঁজছে। তবে কেউ কখনো তাকে সন্দেহ করেনি।
ছানোয়ার নামে ওই বাড়ির এক ভাড়াটিয়া জানান, অভিযান চালানো ফ্ল্যাটে তিন মাস আগে এক ব্যক্তি ভাড়া নেন। সেখানে দুই ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বাস করতেন ওই ব্যক্তি । তিন দিন ধরে ওই ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ ছিল।
প্রসঙ্গত গত ৯ জুন নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ভাসাপাড়া এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়িতে ২৯ ঘণ্টা অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন অস্ত্র, গুলিসহ প্রায় ৮০টি আলামত জব্দ করা হয়। সেখান আটককৃত একজনের দেয়া তথ্যমতেই রূপগঞ্জের ওউ বাড়িটিতে অভিয়ান চালায় সোয়াত ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট।