স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার চ্যালেঞ্জ উত্তরণে প্রযুক্তি হস্তান্তর, সম্পদের সংযোজন এবং দরিদ্র দেশগুলোর সামর্থ্য বৃদ্ধির ব্যাপারে আরো তৎপর হওয়ার জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার জাপানের কাসিকজিমা দ্বীপের সিমাকানকো হোটেলে জি-৭ সম্মেলনের আউটরিচ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন ও দৃষ্টিভঙ্গী উল্লেখ করে জি-৭ সম্মেলনের আউটরিচ সভার প্রধানমন্ত্রী আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কিত চারটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করেন।
জি-৭ সম্মেলনের আউরিচ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক সম্পর্কে পররাষ্ট্র সচিব এম. শহীদুল হক সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
শেখ হাসিনা নীতি প্রণয়ন ও রাজনীতিতে নারীদের গুরুত্ব দেওয়া, সমাজে নারীদের অধিকার ও মর্যাদা তথা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য পরিসেবা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ২০০১ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। এটা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার সক্ষমতা ও বৈশ্বিক ভাবমূর্তির প্রতি স্বীকৃতি।
উন্নয়নের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায়ে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে তার সরকারের প্রচেষ্টার বিষয়টি তুলে ধরেন। গ্রাম পর্যায়ে বাংলাদেশের কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো বিশ্বব্যাপী একটি ‘রোল মডেল’বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ২০৩০ সালের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নারীর প্রতিনিধিত্ব ও ক্ষমতায়ন, তাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং তাদের অধিকার ও মর্যাদাকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
শহীদুল হক বলেন, সভা শেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল, জাতিসংঘ মহাসচিব ও আইএমএফ প্রধানসহ বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মত বিনিময় হয়েছে।
জি-৭ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাড়া জি-৭ এর অন্য রাষ্ট্রগুলো বিভিন্ন আঞ্চলিক গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব করে। অন্যদিকে, বিশ্ব অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্যের জন্য শুধুমাত্র বাংলাদেশকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
জি-৭ আউটরিচ-এর দুইটি অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সম্পূরক এজেন্ডা- বিশেষত, নারীর ক্ষমতায়ন, মানসম্মত অবকাঠামো, পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন, যেসব ক্ষেত্রে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের সুনাম রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০০১ সালে শেখ হাসিনার উত্থাপিত দারিদ্র্য বিমোচন ইস্যুটিকে জি-৭ নেতারা একটি বড় এজেন্ডা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
তথ্যসূত্র : বাসস