বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগগ্রহণ করেন। শৈশব-কৈশর পেরিয়ে যৌবনে পদর্পণ করতেই রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন মহান এই বোদ্ধা। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারী প্রতিষ্ঠিত হয় ছাত্রলীগ। শুরু হয় ৬দফা,৬৯ গণঅভ্যুত্থ্যান,৭০এর নির্বাচন,৭ মার্চ জ্বালাময়ী ভাষণ, ৭১’রের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছিনিয়ে আনেন স্বাধীনতা। শত্রুমুক্ত হয় বাংলাদেশ। আমরা পেয়ে থাকি একটি মানচিত্র। পেয়ে থাকি একটি লাল-সবুজের পতাকা,স্বাধীন ভূ-খন্ড। দেশ যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত তিল তিল করে দেশকে যখন দাড় করিয়েছেন বঙ্গবন্ধু ঠিক তখনই অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট একদল বিপথগামী সেনা অফিসারের হাতে স্বপরিবারে নির্মমভাবে খুন হন তিনি। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বর্তমান প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার অনুজ শেখ রেহেনা। বঙ্গবন্ধুর আমার সোনার বাংলা গড়া লক্ষ্যে প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন। একেেযাগে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধাণমন্ত্রী,তার সঙ্গীয় মন্ত্রী পরিষদ ও এমপি মহোদয়গণ। তারমধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একেএম সেলিম ওসমান অন্যতম। শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান নিজেদের ব্যাক্তিগত টাকায় নারায়ণগঞ্জ তথা বন্দরের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আওয়ামীলীগ যাতে একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে সে লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগকে দিক-নির্দেশণা দেন। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কর্মী সমাবেশ করার জন্য। মহানগর আওয়ামীলীগে সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেনও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকে খোকন সাহার নেতৃত্বে বন্দরের ৯টি ওয়ার্ডে জঙ্গী ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ হয়। সাড়া পড়ে যায় তৃনমূল আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে। উক্ত সভায় কর্মীদের মাঝে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে,জাগ্রত হয়েছে তৃনমূল। তৃনমূল শক্তিশালী ওয়ার্ড,থানা,মহানগর,জেলা সর্বোপরি বাংলাদেশ আয়োমীলীগ শক্তিশালী হবে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শক্তিশালী হলে প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে। পবিত্র রমজান মসে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক হাবিবুর রহমান রিয়াদ,যুগ্ম আহবায়ক হাসনাত রহমান বিন্দু ও নাসিম মাহমুদ তপনের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ মহানগ ছাত্রলীগের বন্দরের ৬টি ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ৬টি ওয়ার্ডের সম্মেলনে দেখা গেছে ছাত্রদের মধ্যে বাধ ভাঙ্গা আনন্দ-উল্লাস। দীর্ঘ দিন পর ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ায় নতুন নেতৃত্বে যেন জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঝিমিয়ে পড়া ছাত্র রাজনীতিতে যেন আবার নতুন করে প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে। রিয়াদ,বিন্দু ও তপনের সুচারু নেতৃত্বে ছাত্রলীগ একধাপে এগিয়ে যায় অনেকটা পথ। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে তারা শেষ করেন ওয়ার্ডগুলোর নতুন কমিটি। এক সময় আমিও বন্দর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। তাই প্রাণভরে দোয়া এবং ধন্যবাদ জানাই মহানগর ছাত্রলীগকে। তারা অত্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড ছাত্রলীগের গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠন করে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। আমি তাদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি। এক্ষেত্রে অভিনন্দন জানাই নারায়ণগঞ্জের প্রাণ পুরুষ,গণ মানুষের নেতা,ছাত্র ও যুব সমাজে অহংকার আমার প্রাণপ্রিয় নেতা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানকে যার নিদেশণা ও আদর্শে সুসংগঠিত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী পরিবার।পেিশষে মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে প্রার্থণা করি আল্লাহ যেন শেখ হাসিনা ও জননেতা একেএম শামীম ওসমানসহ সকল নেতা-কর্মীকে ভাল এবং সুস্থ্য ও নিরাপদ রাখেন। আমিন….। আবার দেখা হবে রাজপথে,মিছিলে-মিছিলে,শ্লোগানে-শ্লোগানে জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। সামসুল হাসান-সাবেক সভাপতি,বন্দর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ।