বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাত বছরের কারাদণ্ড হওয়ার পর এই মামলা আইনগতভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
হাইকোর্টের রায়ে তারেকের সাজা হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে খালাস পাওয়া মামলায় আপিল করেছে।’
শনিবার দুপুরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল (র:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত সংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়। সেজন্য তারা বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমার মাধ্যমে সাজার এই কৌশল নিয়েছে। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা ও তার সাজার বিষয়টি রাজনৈতিক। আমরা এটি আইনগত ও রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করব।’ উচ্চ আদালতের কাছ থেকে তারেক রহমান ন্যায়বিচার পাননি বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাঁচারের যে মামলাটি করা হয়েছে, এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। জজ আদালত তারেক রহমানকে খালাস দিয়ে রায় দেন। কিন্তু সরকার প্রতিহিংসার বশরর্তী হয়ে তা বাতিলের জন্য আপিল করেছে। উদ্দেশ্য একটাই, তারেক রহমান ও বিএনপিকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা।’
দেশে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় সরকারের অনাগ্রহ রয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকার জঙ্গিবাদ মোকাবিলার ইস্যুতে ঐক্য চায় না। তারা সেজন্য একের পর এক ইস্যু সৃষ্টি করছে।’
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে বিমানবন্দরে পৌঁছায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীরের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দল। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসে বাংলাদেশ সম্পর্কিত একটি সেমিনারে অংশ নিতে গত ১৬ জুলাই লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে প্রতিনিধি দলটি।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।