বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ফতুল্লার পোষ্ট অফিস রোড এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামী মুন্না ওরফে ডাকাত মুন্না এবং তার অন্যতম সহযোগী রাসেল ও শাওনকে এখনো গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তাদের দোর্দন্ড প্রতাপের কারণে এলাকাবাসী আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। উল্লেখিতরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকায় পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে প্র¤œ উঠেছে। এদিকে সন্ত্রাসী ডাকাত মুন্না বাহিনী অধরা থাকায় তারা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি,রাতের আধারে চুরি ও ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। কারো কারো মতে. রাজনৈতিক প্রভাবের কারনেই মুন্না বাহিনী এখন ফতুল্লার একাধিক এলাকায় আতঙ্কে পরিনত হয়েছে। সন্ত্রাসী মুন্না বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে র্যাব ও পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ফতুল্লার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা।
সর্বশেষ মুন্না বাহিনীর বিরুদ্ধে গত ২৩ মার্চ ফতুল্লা পোষ্ট অফিস রোডে অবস্থিত দীপ্তি ডাইংয়ে চাঁদার দাবিতে হামলা চালিয়ে শ্রমিক, কর্মচারীদের মারধর ও ভাংচুর করে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ত্রাসী মুন্না, তার ভাই শাওন, রাসেল ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে ২০/২৫জনের একটি বাহিনী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পোষ্ট অফিস রোড, রিফুজিপাড়া, খোঁজপাড়া, শাহজাহান রোলিং মিল, পাইলট স্কুল এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এসব এলকায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, রাতের আধারে ঘরমুখী নারী-পুরুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে টকা হাতিয়ে নেয়া এবং নারীদের শ্লীলতাহাসিন করা, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে গিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ রয়েছে। আর এসব কারণে সন্ত্রাসী মুন্না একাধিকবার র্যাব ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। আর এই মুন্না বাহিনীর হয়ে পর্দার আড়াল থেকে মুহিদ নামে এক জাপা নেতা শেল্টার দিচ্ছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ। এলাকার অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, পোষ্ট অফিস রোড এলাকায় ছাত্রলীগের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে রাসেল নামে এক ছিঁচকে সন্ত্রাসী। দাপা শৈলকুড়া এলাকায় নূর মোহাম্মদের হোটেলে ইয়াবা রেখে দীর্ঘদিন মাদকের ব্যবসার অভিযোগ ছিল রাসেলের বিরুদ্ধে। ওই সময় ওই হোটেল থেকে প্রায় ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এবং পরবর্তীতে মাদক ব্যবসার মূল হোতা রাসেলের সহযোগী শফিকে পোষ্ট অফিসের কাঠগোলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে এএসআই কামরুল। ওই সময় রাসেল দীর্ঘদিন রংপুরে গিয়ে আত্মগোপনে থাকে।