নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
ঢাকা-সিলেট-ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে মালবাহী ট্রাক দেখা মাত্র বাম হাতে লাঠি বাড়িয়ে গাড়ির গতি রোধ করে ডান হাত বাড়িয়ে দেয় ড্রাইভারের দিকে,ড্রাইভারও হাতে হাত মিলিয়ে টাকা দিয়ে চলে যায়। যদি পুলিশ টাকা না পায় তাহলে ট্রাক সাইড করে মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা লুফে নেয় ড্রাইভারের কাছ থেকে। এমন ঘটনা প্রত্যক্ষ করা যায় প্রতিনিয়তই। কাঁচপুর,মদনপুর,মোগড়াপাড়া,রূপসী,ভূলতা,গাউছিয়া এই সমস্ত এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে প্রতিদিনই। বিশেষ করে যদি কোন সাংবাদিকের নজরে পড়ে তাহলে গাড়িটি কেন আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে ড্রাইভার বলে”আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং গাড়ির সব কাগজপত্র ঠিক আছে তার পরেও পুলিশ বলে,কিছু হাদিয়াতো দিতেই হবে”। তবে এক্ষেত্রে অস্বীকারই বেশি করে থাকেন ট্রাফিক পুলিশ। সাংবাদিকদের দেখলে এমনটাই বুঝাতে চান তারা কোন ঘুষ নেন না শুধু ড্রাইভার-পুলিশ হাতে হাত মিলান। ভ্ক্তুভোগী পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়,সুদূর চট্রগ্রাম কিংবা সিলেট হতে প্রতিদিন ৭ টি স্পটে মাসিক মাসোহারা দিয়ে ঢাকায় আনাগোনা করতে হয়। অন্যদিকে এসব মানখলি দিতে গিয়ে পরিবহণ শ্রমিকরা হয়ে ওঠে আরো বেপরোয়া। এ কারণে যাত্রীদের সাথে পরিবহন শ্রমিকদের ভাড়া নিয়ে বাক-বিতন্ডা লেগেই থাকে। যেমন চিটাগাং রোড থেকে মদনপুর ভাড়া ৭ টাকা ধার্য্য করা হলেও ১০ টাকা দিতে হয় যাত্রীদের। পরিবহন শ্রমিকদের প্রশ্ন করলে তারা জানান,আমরা যদি পুলিশদের টাকা না দেই তাহলে যাত্রী উঠাতে দেয় না,আর এই কারনেই ভাড়াটা একটু বেশি নেই আমরা। ভুক্তভোগিরা জানায়,যদি নাঃগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সাহেব বিষয়টির ব্যবস্থা নেন তাহলে এ সমস্ত ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবেন বলে মনে করেন ভুক্তভোগিরা।