বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ঝিনাইদহ জেলার ওজোপাডিকোর নির্বাহী কার্যালয় নিজেই নানা সমস্যায় জর্জরিত যার কারনে জনসাধারণ প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)র ঝিনাইদহ জেলার ব্যাপক বেহাল দশা চলছে। জানাগেছে, পাকিস্থান আমালে ২৮ একর জমির উপর গড়ে উঠে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ঝিনাইদহ বিভাগীয় কার্যালয়। যাহা ঝিনাইদহ জেলায় বিদ্যুৎ বিতারনের কাজে নিয়োজিত আছে। এই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পরে কোম্পানিতে পরিণত হয়ে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি(ওজোপাডিকো)র নামে কাজ শুরু করে।
আজ এই ঝিনাইদহ জেলার ওজোপাডিকোর বিভাগীয় কার্যালয়ের জীর্ণদশা চলছে। সমস্যা লেগেই আছে নির্বাহী প্রকৌশলীর বাস ভবন অনেক আগেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে প্রায় ১৫ বছর দেখার কেউ নেই । বন বাদাড়ে পরিপূর্ণ হয়ে এখন সেখানে চলছে, শিয়াল,সাপ,বেজির বসবাস। তার বাসভবনের জানালা দরজা গুলি খুলে নিয়ে গেছে। জিজ্ঞাসা করলে কেউ বলতে পারে না। কর্মচারী কর্মকর্তাদের বিনোদনের জন্য ছিল একটি ক্লাব ঘর কে বা কাহারা তার টিন খুলে নিয়ে গেছে কেউ বলতে পারে না। বেশ কয়েক টি আবাসিক ঘরের টিন কোথায় উধাও হয়ে গেছে। টিন ছাড়া ইটের দেওয়াল কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে জানান দিচ্ছে যে আমরাও এক কালে ছিলাম। বিদ্যুতের মালামাল রাখার স্টোর গুলির জীর্ণ দশায় ফলে খোলা আকাশের নীচে পড়ে নষ্ট হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগের কোটি টাকার মালামাল বছরের পর বছর। কর্মকর্তা কর্মচারীদের আবাসিক ঘরগুলি ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি নামলে সব গুলি টিনের ঘর থেকে পানি পড়ে। ভিতরে চালাচলের জন্য অনেকগুলি রাস্তা থাকলে তাঁহা বন বাদারের কারনে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সে দিকে কারো খেয়াল নাই। এই খানে অনেক গুলি বড় বড় গাছপালা ছিল দিনে দিনে তাঁহা কোথায় উধাও হয়ে যাচ্ছে ?
এখানকার মসজিদের ইমামের হেফাজতে প্রায় ২০/২৫ খানা পুরান টিন আছে বলে ইমাম সাহেব স্বীকার করেন। যা এখানকার নির্বাহী প্রধান অবগত আছেন। রাত হলে এই আবাসিক এলাকা এক ভুতুড়ে অঞ্চলে পরিণত হয়। যারা আলোকিত করছে ঝিনাইদহ জেলার শহর গুলিতে তারা পড়ে আছে এমন এক অন্ধকার ভুতুড়ে স্থানে। একটি বিনোদনের মাঠ থাকলেও সেটা তেমন ব্যবহার হয় না।
আফিস সুত্রে জানা গেছে মাত্র ৮৯ জন লোকবল কোন রকমে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে। কেউ অবসরে গেলে তার জাইগায় আর নতুন কোন নিয়োগ নাই। প্রচন্ড জনবল সংকটের কারনে গ্রাহকেরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নির্বাহী প্রকৌশলীর আবাসন সংকটের কারনে তাহাকে শহরে বাস ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে। ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সরবরাহ বিভাগে ২০৭টি ট্রান্সফরমারের আওতায় ৩৮ হাজার ৭০২টি গ্রাহক রয়েছে। প্রতি মাসে গ্রাহকরা প্রায় চার কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ টাকার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে।
সি বি এ নেতা নাছির হোসেন জানান, হাজার সমস্যার মধ্যে দিয়া আমারা কোন মতে আছি, অনেকবার আমাদের সমস্যা সম্পর্কে জানিয়ে কোন কাজ হয় নি। নামে বিদ্যুৎ অফিস হলেও কাজের গতি অনেক ধীর। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের প্রচন্ড সংকটের কারনে এই গুলি কি ভাবে কি করতে হবে তাঁহা নিয়ে কাহার মাথা ব্যাথা নেই।
সরকার বিদ্যুৎ বিতারনে অনেক উন্নয়ন করলে আমাদের আবাসিক সমস্যার উন্নয়নের দিকে তেমন খেয়াল নেই। আমি সাংবাদিক দের মাধ্যমে এই ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর সকল সমস্যার সমাধানের দাবী জানাচ্ছি।
নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এখানকার সকল সমস্যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানলেও কিছুই বলে না । এখানে আরও সব মিলিয়ে ৪০/৪৫ জন জনবল প্রয়োজন আছে। অত্যান্ত গোপনে বড়বড় গাছ কেটে উধাও করা হচ্ছে। তবুও তিনি গাছ কাটার ব্যাপারে তিনি কিছুই বলতে পারেন না । তবে মসজিদের ইমামের দায়িত্বে কিছু পুরান টিন আছে বলে তিনি স্বীকার করেন।