ঝিনাইদহ,বিজয় বার্তা ২৪
ঝিনাইদহ জেলার ৮টি ইউনিয়নের নির্বাচনে শনিবার ৪টিতে আওয়ামী লীগ, ২টিতে বিএনপি ও ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নে আব্দুর রশিদ মিয়া, কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নে আশরাফুল ইসলাম, গান্না ইউনিয়নে নাসির উদ্দিন মালিতা ও হরিণাকুন্ডুর চাঁদপুর ইউনিয়নে গোলাম মোস্তফা।
বিএনপি’র বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন, সাগান্না ইউনিয়নে আলাউদ্দিন আল-মামুন ও মাহারাজপুর ইউনিয়নে খুরশিদ আলম। স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন, সাধুহাটি ইউনিয়নে কাজী নাজির উদ্দিন ও মধুহাটি ইউনিয়নে ফারুক আহমেদ জুয়েল। শনিবার ২৮ মে দেশের ৫ম দফা ইউপি নির্বাচনের অংশ হিসেবে ঝিনাইদহের ৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে ভোট গ্রহন শুরু হলেও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে সদর উপজেলার রামনগর, জাড়গ্রাম, রাউতাইল, কুমড়াবাড়িয়া পোলিং এজেন্ট বের করে দিয়ে জাল ভোট প্রদানের অভিযোগ করে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীরা।
এদিন হরিণাকুন্ডুর হাকিমপুর ভোট কেন্দ্রে সনজের আলী নামে এক আওয়ামীলীগ সমর্থককে ১০ দিনের কারাদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভিন। সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক মোবাইল টিম মাঠে ছিল। ফলে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সরেজমিন দেখা গেছে, সদরের গান্না ইউনিয়ন, মধুহাটী, সাধুহাটী, হলিধানী ও কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নে বিএনপি জামায়াতের সমর্থকরা নৌকা বা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট দিতে দেখা গেছে।
কুমড়াবাড়িয়ার লেবুতলা কেন্দ্রে জামায়াতের এক স্থানীয় নেতাকে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে দেখা গেছে। ভোটারদের বক্তব্য যোগ্য প্রার্থী দিলে বিএনপির প্রার্থীদের পাশ করানো সম্ভব হতো। হলিধানী ইউনিয়নে অচেনা এক ব্যক্তিকে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে।
একই ভাবে সাধুহাটী ইউনিয়নে বিএনপির কোন দক্ষ প্রার্থী ছিল না। নুতন প্রজন্মকে কাছে টানতে গান্না ইউনিয়নে বিএনপি বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তিকে প্রার্থী করেছে। সেখানে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আজম প্রায় তিন হাজার ভোট পেয়েছে। একই অর্থে বিএনপি গান্নায় হেরেছে অল্প ভোটে।
কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে বিএনপির কর্মিরা সামাজিকতার কারণে নৌকায় ভোট দিয়েছে।
হলিধানী ইউনিয়নে বিএনপি জামায়াতের প্রার্থীরা নিজ দলের প্রার্থীকে ডুবিয়ে কাজ করেছেন নৌকা ও আনারসে। বিএনপি যে দুইটি ইউনিয়নে বিজয় লাভ করেছে সেই সাগান্না ও মহারাজপুরে যোগ্য প্রার্থী ছিল বলে ভোটাররা মনে করেন।
বাকী ৬টিতে ডুয়েল পলিসি খেলতে গিয়ে ভরাডুবি হয়েছে ধানের শীষের। তবে জেলা নেতারা এ বিষয়ে কেও বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। ইউনিয়ন নেতাদের দাবী হুমকী ধমকীর কারণে বিএনপির সাধারণ সমর্থকরা বিচ্যুতি হয়ে নৌকায় উঠেছে।
শৈলকুপায় নির্বাচনী সহিংসতায় ২৫টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ !
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ,
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ইউপি নির্বাচন পূর্ববর্তী সহিংসতায় ২৫টি বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের মীনগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় অন্তস্বত্ত্বা মহিলাসহ তিন জনকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় বর্তমানে ঐ এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
হামলার শিকার ও আহতরা ঐ ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোক্তার আহমেদ মৃধার সমর্থক বলে জানা গেছে।
নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোক্তার আহমেদ মৃধা জানান, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলাল উদ্দিন বিশ্বাসের কর্মী সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
মীনগ্রাম এলাকার নৌকা প্রতীকের সমর্থক বাবুল শেখ, রঞ্জু মেম্বর, নায়েব আলী, মঞ্জু শেখ, সবুজ, রফিকুল, ট্যাট্টন, বিল্লু, টুকু, আরশ, ইছাহাক, শুকুর আলী, জামিরুলসহ ২৫ জনের বসতবাড়ী ভাংচুর করে।
শৈলকুপা থানার ওসি মহিবুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।