বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ড এর উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞাকে বিদায় সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার বিকাল ছয়টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ড এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ডেপুটি কমান্ডার এড নুরুল হুদা, সাবেক জেলা ইউনিট কমান্ড এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামিউল্লাহ মিলন, সদর উপজেলার ইউনিট কমান্ড এর সভাপতি শাজাহান ভূঁইয়া জুলহাস, ডেপুটি কমান্ডার মো. আয়েত আলী, সহকারী সাংগঠনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর হোসেন মোল্লা, বন্দর উপজেলার সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন তোতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম, মো. আলী নূর, এটিএম শহীদ উল্লাহ, জামাল হোসেন, মিজানুর রহমান, মোমের চৌধুরী, আবুল কাশেম, নিমাই দে, জহির উদ্দিন জজ, মহি উদ্দিন মোল্লা, বশিরুল ইসলাম, নাছির হোসেন, শামসুল হক, মো.হারুন প্রমুখ।
এ সময়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ আলী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তার নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের পূনর্বাসন করা হয়েছে। তিনি সারা বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমপ্লেক্স স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং নারায়ণগঞ্জে ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমপ্লেক্সের ভিত্তপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তৈরি করার জন্য জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।আমরা যখন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তৈরির জন্য জমি পাচ্ছিলাম না তখন জেলা প্রশাসক আমাদেরকে জমির ব্যবস্থা করে দেন এবং মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করতে সাহায্য করেন। প্রতি মাসে সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যে ভাতা প্রদান করে জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে আমরা সহজেই তা সকল মুক্তিযোদ্ধারা পেয়ে থাকি। ঈদের আগে যাতে আমরা সকল ভাতা পেয়ে ভালমত ঈদ পালন করতে পারি জেলা প্রশাসক সাহেবের কাছে অনুরোধ আপনি আমাদের সেই ব্যবস্থা করে দিয়ে যাবেন। নারায়ণগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞার অবদান অনেক যা আমরা মুক্তিযোদ্ধারা কখনও ভূলবো না।
জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি যে আমি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু করতে পেরেছি। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ হয় তখন আমি ছোট ছিলাম তাই তখন মুক্তিযুদ্ধ করতে পারেনি কিন্তু আজ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য স্মৃতি হয়ে থাকবে। সরকারের যখনই কোন সমস্যায় পড়ে তখনই ১৯৭১ সালের মত আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা ঝাপিয়ে পরেন। আমি যত দিন বেঁচে আছি ততদিন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কাজ করতে চাই।