বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
সোমবার সকাল ১১ টায় নারায়নগঞ্জ জেলা পরিষদের কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
নারায়নগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক আঃ হাই এর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন জেলা জজ ঝুমুর গাঙ্গুলী। আরো উপস্থিত ছিলেন, ৭১ এর চেতনা মঞ্চের সভাপতি এসএম রাসেল, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদ, মহিলা লীগ নেত্রী মিসেস কল্পনা সহ প্রমুখ।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ঝুমুর গাঙ্গুলী বলেন, আজকের এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরন করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের যারা এই দিনে মৃত্যুবরন করেছেন। এ দেশে তার জন্ম না হলে হয়তো আমরা আজকের এ স্বাধীন দেশটি পেতাম না। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সাথে আমার খুবই সুসম্পর্ক ছিল। আমি খুব কাছ থেকেই তাদের সাথে মিশেছি। ফজিলাতুন্নেছা ভাল মাপের নেত্রী ছিলেন, তিনি ছিলেন একজন মহিয়সী নারী। এই পরিবারের সম্পর্কে আমার পূর্ব পুরুষের কাছে যা শুনেছি তা বলতে গেলে হয়তো ২০ দিনেও শেষ হবে না। আমার খুব দুঃখ লাগছে এটা ভেবে জঘন্যতম, ঘৃন্যতম ভাবে হত্যা করা হয়েছে।পচাঁ ডাষ্টবিনের হাতে তিনি মৃত্যুবরন করেছেন। তাদের অবস্থা ডাষ্টবিনের চেয়েও খারাপ,বর্তমানে তারা বিরোধী দলেও নেই।
সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল হাই বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন গোটা বাঙালী জাতির অনুপ্রেরণা। যিনি ১৯৭১ সালে সাত কোটি বাঙালীকে একত্রিত করে একটি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিলেন। পাকিস্তানী স্বৈরশাসকদের হাত থেকে বাঙ্গালী জাতির মুক্তির স্বাদ দিতে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেয়। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার মুক্তিকামী জনতা নয়মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাকিস্তানীদের পরাজিত করে লাভ করে গৌরবের লাল সবুজ পতাকা। যুদ্ধ বিধ্বস্ত জাতিকে পূনর্গঠনে ব্যস্ত বঙ্গবন্ধুকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এদেশীয় এজেন্টরা স্বপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতার স্বপ্নকে ধুলিস্যাত করে দেওয়ার অপচেষ্টা করে। যা এখনো থেমে নেই। কিন্তু তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই ষড়যন্ত্রকে কঠোর হাতকে দমন করে বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে একটি অন্যরকম মর্যাদা সম্পন্ন আসনে দাড় করিয়ছেন। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশলী করব।