বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
র্যাব-১১ এর পৃথক অভিযানে জামাআতুগল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সারোয়ার-তামিম গ্রুপের ৪ সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, বিস্ফোরক দ্রব্য, জঙ্গিবাদী বই ও লিফলেটসহ জঙ্গি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বাগেরহাট জেলার শায়েখ আবু ইউশা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ওরফে ইমন, রাজশাহী জেলার আনোয়ার হোসেন, বরগুনা জেলার মো. মাহবুবুর রহমান ওরফে নাজমুল ওরফে উকিল ওরফে রেশান ও বরিশাল জেলার কউসার সিকদার ওরফে কাউছার বিন আব্দুল আলিম ওরফে মাসুদ ওরফে শুভ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে র্যাব ১১ ব্যাটালিয়ন অধিকনায়ক লে. কর্নেল কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
লে. কর্নেল কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা চালানোর উদ্দেশে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুদ করছিল। এলিট ফোর্স র্যাব সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ এর বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। র্যাবের তৎপরতার কারণে সারাদেশে একযোগে বোমা বিষ্ফোরণসহ বিভিন্ন সময়ে নাশকতা সৃষ্টিকারী জঙ্গি সংগঠন সমূহের শীর্ষ সারির নেতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীদেরকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভবপর হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে কারো কারো মৃত্যুদন্ড, যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে, কেউ কেউ বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছে এবং বেশকিছু মামলা এখনো বিচারাধীন। তবে, যে সকল জঙ্গি এখনো আত্মগোপন করে আছে তাদের তৎপরতা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। র্যাবের কঠোর গোয়েন্দা নজরদারী ও অভিযানের ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলোর নেতা কর্মীরা পূনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে বার বার ব্যর্থ হয়েছে এবং বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আটক হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে এবং এ মাসের শুরুতে র্যাব-১১ কর্তৃক তিনটি সফল জঙ্গি বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সকল অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদকালে তাদের সাথে সম্পৃক্ত জেএমবির বিভিন্ন পর্যায়ের জঙ্গি সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। প্রাপ্ত সে সকল তথ্যাদি যাচাই বাচাইয়ের পর তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল ২৪ মে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ০১ টি বিদেশী পিস্তল, উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিস্ফোরক, জঙ্গীবাদী বই ও লিফলেটসহ জঙ্গী কার্যক্রমে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ তথা জেএমবির (সারোয়ার-তামিম গ্র“পের) সক্রিয় সদস্য। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতার উদ্দেশ্যে এ সকল অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুদ করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।