বিশেষ প্রতিনিধি,বিজয় বার্তা ২৪
জাতীয় পার্টি’র জাতীয়তাবোধে যিনি কখনোই বিশ্বাসী ছিলেন না। যিনি কখনোই জাতীয় পার্টি’র রাজনীতি করেননি অথবা কোনভাবেই সম্পৃক্ত ছিলেননা। জাতীয় পার্টিকে নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে সারাজীবন যে ব্যক্তি “যাত্রা পার্টি” বলে হাস্যরস করতো, আজ সেই তেল চোরা দেউল্লা-ই এখন লাঙ্গল কাঁধে যাত্রা পার্টি’র খলনায়ক তথা ভিলেন। অবশ্য ভিলেন চরিত্রে একমাত্র তাকেই মানায়। হয়তো তিনি ছোটবেলা স্কুল ফাঁকি দিয়ে খুব বেশী বাংলা সিনেমা দেখেছেন। যে কারণে লেখাপড়া করে প্রাইমারী স্কুলের গন্ডি পেড়িয়ে খুব বেশীদূর যেতে পারেন নি। হতে পারেন নি উচ্চ শিক্ষিত, শিখেছেন তেল চুরি। আর এই চুরি বিদ্যায় পারদর্শী বলেই, পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে, ওপেন-সিক্রেট চোরাই তেলের ব্যবসা করে, দিনে দিনে আঙুল ফুলে হয়েছেন কলাগাছ। আর এই অবৈধ টাকার তেলেসমাতিতে বাংলা সিনেমার ভিলেনের মত হয়েছেন বাড়িওয়ালা, গাড়িওয়ালা, নারীওয়ালা আর গাল-গল্পের ফেরিওয়ালা। তিনি দান-দক্ষিণাও করেন বটে, তবে সুন্দরী নারীর বেলায় একটু বেশীই করেন। তিনি নিজেকে সমাজের সকল সুন্দরী নারীর ত্রাণকর্তাও মনে করেন। তাছাড়া তার একাট বিশেষ গুন হল, বিয়েতে তার একটুও আলসেমী নেই। স্কুলে শিক্ষিকা নিয়োগ দিয়ে, সেই সুন্দরী শিক্ষিকার রূপে মুগ্ধ হয়ে ছলে-বলে কলে কৌশলে তাকে বানিয়েছেন অতি খায়েসের দুই নাম্বার বউ। এছাড়াও জীবনে তিনি অনেক নারী’র আর্থিক, পারিবারিক, সামাজিক, বৈষয়িক এমনকি শারিরিক অনেক উপকার করেছেন। ছোট বিবিকে খুশী করতে, বড় বিবিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসায় অবহেলা করে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর পরিণতি মেনে নিতে বাধ্য করেছেন বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। আবার সেই তেল চোরা দেউল্লা-ই মক্কায় গিয়ে হজ্ব করে নামের আগে হাজী খ্যাতি লাগিয়ে এসব কিত্তিকলাপ করেছে এমন অভিযোগও রয়েছে ভূড়ি ভূড়ি। সেই হাজার গুনের অধিকারী ব্যক্তিটিই আবার কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভোট কিনে ছল-চাতুরী অভিনয়ে হয়েছেন বন্দর উপজেলাধীন কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। আর এই সুবাদে তার তেল চোরা খ্যাতি মুছে হতে চেষ্টা করছেন হাজী মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রধান। এভাবে কেটে গেছে তার চেয়ারম্যান জীবনের দীর্ঘ পাঁচ বছর। এই পাঁচ বছরের নানা কর্মকান্ডে হয়েছেন তিনি আরও বিতর্কিত। করেছেন অনেক লুটপাট, জনগনের কল্যানের নামে পরের জমি জবরদখল করে পরে মিমাংসার নামে নামকাওয়াস্তে দাম দিয়ে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে জমির মালিককে করেছেন জমিহারা। উল্লেখিত সব মন্তব্য এবং অভিযোগই বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ভোটার সাধারনের। তাদের মতে, দেলোয়ার প্রধান অবৈধ পথে উপার্জন করে সেই হারাম টাকায় আরাম খুঁজছেন।
তারা আরও বলেন, স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের একান্ত আশীর্বাদে ও জাতীয় পার্টি’র দলীয় মনোনয়নে সেই যাত্রাপার্টি’র ভিলেন হাজী মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রধান আবারও হয়েছেন বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ‘লাঙ্গল’ প্রতীকধারী চেয়ারম্যান প্রার্থী।
অপরদিকে যিনি সু-দীর্ঘ তেত্রিশ বছর ধরে জাতীয় পার্টি’র নিবেদিত প্রাণ কর্মী হিসেবে প্রয়াত এমপি আলহাজ্ব নাসিম ওসমানের আদর্শে গড়া বলিষ্ঠ রাজনীতিবিদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টি’র ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজিজুল হক আজিজ হয়েছেন উল্লেখিত ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ নিয়ে স্থানীয় জাতীয় পার্টি’র তৃণমূল পর্যায়ের ত্যাগী নেতাদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।