আন্তর্জাতিকডেস্ক,বিজয় বার্তা ২৪
ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে সেখান থেকে সুদ পাওয়া যাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জাপান সরকার ঠিক তার উল্টো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন থেকে জাপানে ব্যাংকে অর্থ রাখলে সেখান থেকে অর্থ কাটা যাবে। অর্থাৎ অর্থ রাখার জন্য উল্টো ব্যাংকগুলোকে অর্থ দিতে হবে।
যদি অর্থ জমা থাকে, তাহলে জাপানের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ০.১ শতাংশ হারে অর্থ নেবে।
ব্যাংকগুলো যাতে বেশি করে ঋণ দিতে বাধ্য হয় সেজন্যই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানে অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা করার জন্যই এ পদক্ষেপ নিয়েছে সে দেশের সরকার। এ ধরনের পদক্ষেপ এর আগে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকও গ্রহণ করেছে। কিন্তু জাপানে এ ধরনের পদক্ষেপ এই প্রথম।
জাপানে বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার খুবই কম। সেজন্য মানুষজন সেই অর্থ খরচ কিংবা বিনিয়োগ না করে ব্যাংকে রাখছে।
সে কারণে ব্যাংকে জমা থাকা অর্থের ওপর যদি সুদ না দিয়ে উল্টো অর্থ কেটে রাখা হয় তাহলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বেশি করে ঋণ দিতে উৎসাহিত হবে।
এর ফলে জনগণ ব্যাংকে অর্থ জমা রা রেখে আরো বেশি খরচ করবে এবং বিনিয়োগও বাড়বে।
জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্য হচ্ছে মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশ রাখা। কিন্তু সে দেশে অর্থ খরচ করার প্রবণতা কমে গেছে। যার ফলে জিনিষপত্রের দামও অনেক কম। এই প্রবণতা অর্থনীতির জন্য ভালো খবর নয়। এই ঋণাত্মক সুদের হার নির্ধারণ কতোটা কাজে দেবে সেটি নিয়ে সন্দেহ আছে।
টোকিওর ফুজিতসু ইন্সটিটিউটের মার্টিন স্কালজ বলেন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য ঋণাত্মক সুদের হার হচ্ছে সর্বশেষ পন্থা।
তিনি বলেন, জাপানে যে ঋণের প্রবাহ বাড়ছে না সেজন্য শুধু বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো দায়ী নয়। ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করার মতো কোনো সুযোগ খুঁজে পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই উদ্যোগ কতোটা কাজে দেবে সেটি নিয়ে তিনি সন্দিহান।