বিজয় বার্তা২৪ ডটকমঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বেনীপুরের ‘জঙ্গি বাড়ি’ থেকে আত্মসমর্পণ করা ‘জঙ্গি’ সুমাইয়া খাতুনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। গত রবিবার রিমান্ড মঞ্জুরের পর ওই দিন বিকাল থেকেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোদাগাড়ী থানার পরিদর্শক আলতাফ হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সুমাইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে ছয় সদস্যের পুলিশি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এই বোর্ডের নেতৃত্বে আছেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী।পুলিশ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিনই সুমাইয়া বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সুমাইয়ার দেওয়া কোনো তথ্য প্রকাশ করতে চাননি তিনি।
সুমাইয়া গোদাগাড়ীর দিয়াড়মানিকচক গ্রামের জহুরুল ইসলামের স্ত্রী। জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য জহুরুলকে গত বছরের ৩১ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর থেকে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে সুমাইয়া উপজেলার বেনীপুর গ্রামে তার বাবার বাড়িতে থাকতেন।জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গত বৃহস্পতিবার ভোররাতে বেনীপুরের বাড়িটিতে অভিযান চালায় পুলিশ। সকালে বাড়িটি থেকে কয়েকজন জঙ্গি বের হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহুতি দেন সুমাইয়ার বাবা, মা, ভাই, বোন ও অপর এক বহিরাগত জঙ্গি। এ সময় নারী জঙ্গির অস্ত্রের আঘাতে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী নিহত ও পুলিশের চার সদস্য আহত হন। পরে পুলিশের কাছে ধরা দেন সুমাইয়া।গত রবিবার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সুমাইয়াকে আদালতে তুলে পুলিশ ১৫ দিনের রিমান্ড চায়। শুনানি শেষে বিচারক ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জঙ্গি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা সুমাইয়ার ৮ বছরের ছেলে তার চাচার হেফাজতে আছে। আর তিন মাসের মেয়ে আছে মায়ের কাছে।