বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
জঙ্গিবাদ দমনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন করা হবে যাতে জঙ্গিবাদে কেউ সম্পৃক্ত হতে না পারে।
রবিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও মালিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলা এই মতবিনিময় সভায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক, ভিসি ও কয়েকটি ইংরেজিমাধ্যম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের বক্তব্য রাখেন। এতে পুলিশের আইজি, র্যাবের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জঙ্গিবাদ দমনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। তবে এ ধরনের বিষয়ের জন্য আইনের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন, প্রতিরোধ ও চেতনা গড়ে তুলতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে সব তথ্য আছে, কারা মানুষ হত্যা করার মত ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে জড়িত। তাদের ব্যাপারে সব জানি আমরা। আমরা কঠোর হতে চাই না, শান্তিপ্রিয় মানুষ শান্তি চাই। তাই আপনারা যারা পথভ্রষ্ট হয়েছেন তারা পথে ফিরে আসুন।’
তিনি বলেন, ‘একসময় মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে জঙ্গিরা টার্গেট করে তাদের অপকর্মে লিপ্ত করতো। ফলে আমরা সেখানে ব্যাপকভাবে নজরদারি করি এবং মাদ্রাসার ছাত্ররা যেন ভুল পথে পা না বাড়ায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আমরা সক্ষম হয়েছি।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এখন মাদ্রাসা থেকে সরে গিয়ে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে তাদের জীবনকে বিপদের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এখন আমরা এখানে অনেক বেশি সচেতন হয়েছি।’
সভায় পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক বলেন, ‘সন্তানরা যেন বিপথে না যায় তা দেখার দায়িত্ব পরিবারের। আমি মনে করি, শিক্ষকদেরও দায়-দায়িত্ব আছে নজরদারি করার।’
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা স্মরণ করে দিয়ে সবাইকে যার যার অবস্থানে থেকে সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে আসা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
পুলিশের আইজি আরও বলেন, সবার সহযোগিতা নিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনী জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করবে। সন্তানরা যেন এসব কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে না পড়তে পারে তার দায়িত্ব আমাদের সকলের, পরিবারের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যারা আছেন তাদেরও দায়িত্ব আছে নজরদারি করার। কীভাবে নজরদারি করা যায় সে বিষয়ে আপনারা মতামত দেবেন।
তিনি বলেন, তরুণদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে জড়িত করা হচ্ছে। কোরআনের কিছু সুরার খণ্ডিত অংশ বিকৃত করে জিহাদের নামে বেহেস্তে যেতে পারবে বলে তরুণদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আর বেহেস্তের আশায় তারা জীবন বিসর্জন দেয়।