বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় মাদকের আধ্যিপত বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফিল্মি স্টাইলে প্রকাশ্যে আল আমিন (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। নিহতের স্ত্রী মুক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ৮/৯ জনকে অজ্ঞাত করে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলার অন্যতম আসামী রমুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি শনিবার রাতে (১০ ফেব্রুয়ারী) ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আজম নিশ্চিত করেন।
এর আগে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ১১ টায় চাষাঢ়া বালুর মাঠ এ্যাপেলো ক্লিনিকের সামনে আল আমিন নামে যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শুভ (২২) নামে আরেক যুবক আহত হয়।
নিহত আল আমিন ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় দেলোয়ার মিয়ার ছেলে ও আহত শুভ একই এলাকার শাহজালালের ছেলে। আল আমিন অটোরিকশা গ্যারেজের ব্যবসায়ী ছিলেন আর শুভ একটি পোশাক কারখানার মেশিন অপারেটরের কাজ করতো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে এ্যাপেলো ক্লিনিকের সামনে ১০/১২ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দাড়িয়ে থাকা আল আমিন ও শুভ‘কে ফিল্মি স্টাইলে প্রকাশ্যে কুপিয়ে আহত করে। পরে রক্তাত অবস্থায় তাদের অটোরিকশায় তুলে নিয়ে ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় আবারও মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায় দুবৃর্ত্তরা। স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোটিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে আল আমিনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে আর গুরুতর আহত অবস্থায় শুভকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতদের স্বজনরা জানান, মাসদাইর এলাকায় স্থানীয় রমু ও অনিক প্রধানের সাথে আল আমিনের বিরোধ ছিল। গতকাল রাতে পরিকল্পিতভাবে আল আমিনকে হত্যা করা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আজম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা যাচ্ছে মাদকের আধ্যিপত বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ড হয়েছে। তাদের সাথে পূর্বের বিরোধ চলছিল। আল আমিন নামে যুবককে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী মুক্তা ৯জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ৮/৯ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় রমু নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। যারা হতাকান্ড ঘটিয়েছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। ওসি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে হত্যার কারন বিস্তারিত বলা যাবে।