চামচ মার্কা উপদেষ্টাদের তোষনে আত্মহারা “মগজভরা দেমাগে”র অহমিকায় নিজেই ঘায়েল হবার কঠিন অস্ত্র প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দিলেন দানবীর এমপি সেলিম ওসমান!
আনিসুজ্জামান অনু,বিজয় বার্তা ২৪
দুর্বারগতিতে এগিয়ে চলা মগজভরা দেমাগের হঠাৎ যেন ছন্দপতন। চামচ মার্কা উপদেষ্টা আর গৃহপালিত সংবাদ সরবরাহকারীদের তোষনে আত্মহারার নিবুর্দ্ধিতায় এবার নিজেই ঘায়েল হবার কঠিন অস্ত্র প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দিলেন দানবীর হিসাবে পরিচিতি পাওয়া সেলিম ওসমান। এ যেন ভরা বালতি দুধের মাঝে সামান্য একফোটা চ্যানার কল্যানে সারা জীবনের তিলে তিলে গড়ে তোলা প্রাসাদ নিমিষেই ধুলিস্যাত হবার উপক্রম। মনে হলো “কিরনমালা” রুপকথার কাহিনীর মতো অবচেতনমনে অনেক কষ্টে ঘুমপাড়িয়ে রাখা রাক্ষুসী দলকে পুনর্জীবিত হওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া হলো। শুরু হয়ে গেলো আবারো রাজ্যজুড়ে অন্ধকারের ঘনঘটা।
বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনাকাল ১৩ই মে হলেও ঘটনার সূত্রপাত কিন্তু দীর্ঘদিনের। এ অবস্থায় ম্যানেজিং কমিটির সাথে প্রদান শিক্ষকের দ্বন্ধের বলি হচ্ছেন একজন সহজ-সরল দানশীল সফল ব্যবসায়ী আর প্রথমবারের মত এমপি হওয়া সেলিম ওসমান। তাও আবার সাম্প্রদায়িকতার মতো একটি কঠিন ইস্যুর পাশাপাশি শিক্ষকসমাজকে হেয় করার অভিযোগে এখন বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানোর অবস্থায় চলে যাচ্ছে ঘটনা। এর শেষ কোথায় গিয়ে হতে পারে তা কারো বোধগম্য হচ্ছে না। তবে মগজ ভরা দেমাগের দাবীদার এ যাত্রায় যে মহাভুল ও তার উপদেষ্টাদের অপরিপক্কতার ফাঁেদ পা দিয়ে ফেলেছেন তা একরকম নিশ্চিত বলেই তার শুভাকাঙ্খিদের দাবী।
গতকাল নারায়নগঞ্জ ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ৪৩টি ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষে ব্যবসায়ী নেতা আসলাম সানি তার বক্তব্যে বলেছেন,সেলিম ওসমান একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি শান্তিরচরে নীট পল্লী প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক অবদান রাখছেন। নীট ব্যবসায়ে নেতৃত্বের মাধ্যমে নারায়নগঞ্জকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করে তুলতে সেলিম ওসমান নিরলস চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ছাড়াও তার কষ্টার্জিত উপার্জনের কোটি কোটি টাকা শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নে দু‘হাতে বিলিয়ে দিচ্ছেন । এ ধরনের ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলতে থাকলে ভবিষ্যতে দানশীল ব্যাক্তিরা সমাজ সেবায় এগিয়ে আসতে দ্বিধান্বিত হতে পারেন।
গতকালকের সংবাদ সম্মেলনে আসলাম সানিসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের সাথে সেলিম ওসমানের শুভাকাঙ্খিরাও একমত। কারন কদম রসুল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রজতজয়ন্তি অনুষ্ঠানে অতিউৎসাহের সাথে এমপি সেলিম ওসমান নিজেকে মগজভরা দেমাগের অধিকারী বলে ঘোষনা দিয়েছিলেন। সেখানে তার ৩ উপদেষ্টার কথাও জানান দিয়েছিলেন উপস্থিত জনতার মাঝে। তার সাথে সার্বক্ষনিক এক গৃহপালিত সংবাদ সরবরাহকারীও নিয়োজিত থাকেন তার সার্বিক কর্মকান্ডের সংবাদ জনগনের মাঝে সরবরাহের জন্যে। এখানেই সেলিম ওসমানের শুভাকাঙ্খিদের প্রশ্ন,উনার দানকৃত ৫০ লাখ টাকার গন্ধে কল্যানদির আলোচিত পিয়ারসাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে প্রধান শিক্ষকের দ্বন্ধ ইতিপূর্বে সেই উপদেষ্টারা কি টের পাননি ? কারাই বা হঠাৎ করে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে গ্রামবাসীকে জড়ো করে গুজব ছড়িয়ে দিয়ে প্রধান শিক্ষককে গনধোলাইয়ে আহত করেছে। এ ছাড়াও একজন এমপি‘র সরব উপস্থিতিতে সেদিনের প্রধান শিক্ষকের কান ধরে উঠবসের ঘটনার দৃশ্যধারন করে ভিডিওসহ সংবাদ সরবরাহ করে ওসমান পরিবার বিরোধী গ্রুপকে উৎসাহিত করেছে। আর কেনইবা এমন স্পর্শকাতর এটা ইস্যু নিয়ে নিজে সাংবাদিকদের মুখোমুখি না হয়ে ব্যবসায়ীমহল দিয়ে অদ্ভুত ধরনের সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ক্ষত বাড়ানোর ভুল পদক্ষেপ নিলেন। এর আগেও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক ঘটনায় সাংবাদিকদের ধমক দিয়ে উক্তি করেছিলেন। কারন তিনি সকল সাংবাদিককে গৃহপালিত সংবাদ সরবরাহ মনে করেছিলেন। তিনি মগজভরা দেমাগে ভাবতে পারেননি যে গৃহপালিত সংবাদ সরবরাহকারী পোষতে গিয়ে সাংবাদিক শুভাকাঙ্খিদের সাথে দুরুত্ব সৃষ্টি করে ফেলেছেন।
এ নিয়ে ওসমান পরিবারের শুভাকাঙ্খিদের বক্তব্য হচ্ছে, চলার পথে ভুল হতেই পারে। সৎসাহস আর আন্তরিকতা নিয়ে নিজেই সামনে আসুন। সৎ উদ্দেশ্য সফলতা আসবেই-জনতা রয়েছে সাথে। তাই অতিউৎসাহি চামচ মার্কা উপদেষ্টা নয় শুভাকাঙ্খি তৈরী করুন যারা সুখে-দুঃখে সারাজীবন আপনার পেছনে থাকবে। কারন টাকা দিয়ে চামচ কেনা যায়, শুভাকাঙ্খি তৈরী করা যায় না।