নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নগরীতে এক বিএনপি নেতাকে শারীরিক নির্যাতনের পর খুন করা হয়েছে।
গত ২৬ এপ্রিল ২০১৬ শারীরিক নির্যাতনের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় বিএনপি নেতা নুর মোহাম্মদ মারা যান। তিনি চট্টগ্রাম জেলার উত্তর পতেঙ্গা থানার মুসলিমাবাদ গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে।
নিহতের পরিবার এবং এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধ এবং জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল । এই বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বেশ অনেক দিন ধরে দ্বন্দ্ব , সংঘর্ষ ও মামলা মুকাদ্বমা চলছে। বেশ কয়েক বার নিহতের বাড়িতে আওয়ামী লীগ নেতা ও বিটিআই চেয়ারম্যান এম আসলাম এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক এর লোকজনের মাধ্যমে হামলার শিকার হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।এছাড়া নিহত নুর মোহাম্মদের বসত বাড়ী সংলগ্ন যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় ঐ জমি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মামলা চলে আসছিল। গত ৮ এপ্রিল ২০১৬ আদালত থেকে ফেরার পথে নুর মোহাম্মদ ও তার দুই ছেলে তানভীর হোসাইন ও তানজীমুল হক তাছিব এবং তাদের এক আত্মীয়ের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। তানভীর হোসাইন এর ভাষ্য অনুযায়ী ৯-১০ জন মুখোশ ধারী ও হেলমেট পরিহিত সন্ত্রাসী রাম দা, চাপাতি, হকি স্টিক নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় নুর মোহাম্মদ এবং তার ছেলেরা গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে নুর মোহাম্মদের অবস্থা ছিল আশংকা জনক। পরে স্থানীয় বাজারের কিছু লোক এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায় এবং তারা সাথে সাথে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এলাকার লোকজন ও পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পরবর্তী চেয়ারম্যান নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে এলাকায় তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল বেশি। সেই লক্ষ্যে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন এবং বেশ কয়েক বার বিরোধী পক্ষের দ্বারা বাঁধার সম্মুখীন হতে হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী এই হত্যা কমান্ডের সঠিক তদন্ত ও বিচারের দাবি করেছে এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর পক্ষ থেকেও এক শোকবার্তা ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। এটি একটি রাজনৈতিক হত্যা কান্ড বলে অভিহিত করেন এবং সঠিক বিচারের দাবি করেন।
নিহতের বড় ছেলে প্রতিবেদককে জানান, প্রতিপক্ষ ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশের আইন কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে যা ইচ্ছা তাই করছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ১১ আসনের সংসদ সদস্য এম লতিফ হচ্ছেন বিটিআই কোম্পানির চেয়ারম্যান এম এ আসলাম এর ব্যবসায়িক অংশীদার এবং আসলাম ও আব্দুল বারেক তাদের ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করেন। তাই সংসদ সদস্য এম লতিফের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তারা প্রভাব বিস্তার করছে বলে তিনি জোর দাবি করেন। আমাদের প্রতিনিধি মাধ্যমে অনুসন্ধান করে এর সত্যতা নিশ্চিত করা গেছে। এম এ আসলামের মোবাইলে বার বার ফোন করলেও কাউকে পাওয়া যায়নি
নিহত বিএনপি নেতা নুর মোহাম্মদ এর স্ত্রী আয়েশা বেগম এবং ছেলে তানভীর হোসাইনকে আইনী কোন পদক্ষেপ নেবেন কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানান- আমরা এখন শোকার্ত এটা নিয়ে আমারা পরে চিন্তা ভাবনা করে পদক্ষেপ নিব।##