বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি একটি স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা নিব আরেকটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। স্বপ্লমেয়াদী পরিকল্পনার মধ্যে ব্রীজ টানেল সহ বায়ু দূষণ জলাবদ্ধতা, যানজট নিরসন। আর দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় থাকবে আগামী একশ বছরকে সামনে রেখে গ্রান্ড মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করবো। এটা জনগনের কাছে ছেড়ে দেব তাদের মতামতের জন্য। তাদের পরামর্শ নেব এবং সেই মেতাবেক আমি চলব।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) বন্দরে নাসিক নির্বাচনের প্রচারণার সময় সাংবাদিকদের পক্ষে জবাবে একথা বলেন তিনি।
তৈমূর বলেন, আমি সবসময় জনগনের পাশে ছিলাম, কখনও বিরতি নেইনি। আমিই বিএনপি আমিই নারায়ণগঞ্জ। নারায়ণগঞ্জের যারা অভিভাবক ছিলেন তারা জীবিত নেই। তাদের কর্মী হিসেবে আমার একটা দায়িত্ব আছে। ২০১১ সালে বিএনপির জন্য নিজেকে আত্মাহুতি দিয়েছি। ২০২২ সালে এসে নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য নিজকে উৎসর্গ করলাম। নারায়ণগঞ্জের জনগনের চাহিদার প্রয়োজনে নিজেকে উৎসর্গ করেছি। জনগন আমাকে গ্রহন কেছে তারা তাদের প্রার্থী খুজে পেয়েছে। এখন সিটি করপোরেশন হবে জনতার। এখানে কন্ট্রাক্টরদের প্রভাব থাকবে না।
”কোন খেটে খাওয়া মানুষের পেটে লাথি দেয়া যাবে না। তাদের পুনর্বাসন করতে হবে আগে। সকলের জীবিকা নির্বাহের অধিকার আছে। পাশাপাশি জনগনকেও স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে দিতে হবে। এখন বলা হয় কিশোর গ্যাং হয়েছে, তারা মাদকাসক্ত। মাদকের বদলে তো তাদের হাতে কিছু একটা দিতে হবে। সে মেতাবেক আমি আগাবো।”
তিনি বলেন, যানজটের সমস্যা এমন কোন সমস্যা নয় যেটা সমাধান করা সম্ভব না। আমাকে আমেরিকা থেকে এ বিষয়ে ট্রেনিং দিয়ে আনা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহর আলাল দুলালের খেলার শহর। মেয়র যদি ডানে যায় এমপি যায় বায়ে। এই সুবিধায় পুলিশ সুযোগ নিচ্ছে। তাদের পয়সা দিলে বসতে পারে না দিলে বসতে পারে না। আমি মেয়র হলে সকলের সাথে বসব প্রয়োজনে শত্রুর সাথে বসব। নারায়ণগঞ্জের যানজট সমস্যা সমাধান সম্ভব। কিন্তু সমস্যা হল কেউ কারও সাথে বসতে চায় না।