বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আংশিকভাবে সীমান্ত খুলে দেয়ায় সম্মত হয়েছে ভেনিজুয়েলা ও কলম্বিয়া। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস ও ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো জানিয়েছেন, আগামীকাল শনিবার থেকে খুলে দেয়া হবে এই সীমান্ত। প্রায় এক বছর আগে নিরাপত্তার কারণে দুই দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় ভেনিজুয়েলা।
বিবিসির খবরে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে ২,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের পাঁচটি স্থান প্রাথমিকভাবে খুলে দেয়া হবে। কেবল পথচারীরাই যাতায়াত করতে পারবেন এই পাঁচটি স্থান দিয়ে। দুই দেশের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, সীমান্তের এই পাঁচটি স্থান প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। গত বছরের আগস্টে ভেনিজুয়েলার একটি সামরিক টহল বাহিনীর ওপর কলম্বিয়ার আধা-সামরিক বাহিনী আক্রমণ করলে ভেনিজুয়েলার তিন সৈন্য আহত হয়। ওই ঘটনার পরই ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো সীমান্ত বন্ধ করার নির্দেশ দেন। ওই সময় ভেনিজুয়েলায় অবস্থানরত অনেক কলম্বিয়ানকেই নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কেরও অবনতি ঘটে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটেছে। দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থারও উন্নতি ঘটেছে। সে কারণেই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের সূত্র ধরে সীমান্ত খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান নিকোলাস মাদুরো। লাতিন আমেরিকান টিভি নেটওয়ার্ক টেলেসারকে তিনি বলেন, নতুন গৃহীত পদক্ষেপকে ‘সাদরে গ্রহণ করবে জনগণ’। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট সান্তোস বলেছেন, সীমান্ত খুলে দেয়ার এই সিদ্ধান্ত সাময়িক এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সিদ্ধান্তকে সমন্বয় করা হবে। তবে দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও জ্বালানী বিষয়ে পৃথক পৃথক চুক্তি সম্পন্ন হলে সীমান্ত পূর্ণভাবে খুলে দেয়া হবে বলে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
উল্লেখ্য, এর আগে গত জুলাই মাসে দুই বার সাময়িকভাবে খুলে দেয়া হয়েছিল এই সীমান্ত। কলম্বিয়া থেকে খাবার ও ওষুধ কেনার জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ায় প্রায় দুই লাখ মানুষ কলম্বিয়া গিয়েছিল। ভেনিজুয়েলায় তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে দেশটি খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সঙ্কটে ভুগছে। দেশটির অর্থনীতি অনেকটাই তেলের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমে গেলে এই সঙ্গটে পড়েছে দেশটি