বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান তাদের নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট খোকন সাহা ও মাহমুদা মালাকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। তার উদ্দেশ্যে মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এড. খোকন সাহা বলেন, সেলিম ওসমান একজন সম্মানিত সংসদ সদস্য। আর অডিও রেকর্ড নকল করা হয়েছে। আর নকল অডিওর জন্য ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই উঠে না।
তিনি আরো বলেন, আর সাংসদ সেলিম ওসমানের সেভেন মার্ডারের ঘটনায় নূর হোসেনের আইনজীবি নিয়োগ হওয়ার বিষয়ে যে সমালোচনা করেছেন এ প্রশ্নের জবাবে খোকন সাহা বলেন, আমি একজন আইনজীবি হিসেবে মামলা পরিচালনা করতেই পারি। এটা আমার পেশাগত দায়িত্ব। আর মামলা পরিচালনা করছি অনেক দিন হয়ে গিয়েছে, মামলার রায়ও হয়ে গেছে। এতদিন সাংসদ সেলিম ওসমানের এ প্রসঙ্গে কথা বলা দুঃখজনক। সেভেন মার্ডারের মামলা পরিচালনার বিষয়ে প্রথম থেকেই তারা সমালোচনা কেন করল না এমন প্রশ্নও ছুড়ে দেন খোকন সাহা।
তবে মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহামুদা মালার মোবাইল ফোনে (যার নাম্বার-০১৯৩৯৭৬০৩৪৬) এশাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, গতকাল বন্দরের সকল স্তরের জনপ্রতিনিধি এবং সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময় সভায় খোকন সাহা ও মালার উদ্দেশ্যে সেলিম ওসমান বলেন, আপনারা যে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেছেন তাতে সারা নারায়ণগঞ্জের মানুষ ক্ষুদ্ধ হয়ে রয়েছে। কিছু অপরাধের সাজা এই দুনিয়াতেই ভোগ করতে হয়। আর কিছু অপরাধের সাজা আখের রাতে সাজা ভোগ করতে হয়। এখনো সময় আছে ক্ষমা চান।
তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ তথা বাংলাদেশ সহ ঘোটা বিশ্বব্যাপী আলোচিত ৭ খুনের শিকার সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল একজন আওয়ামীলীগ কর্মী ছিলেন।
তার সাথে খুন হওয়া অ্যাডভোকেট চন্দন সরকার, তার ড্রাইভার এবং নজরুলের গাড়ির ড্রাইভার সহ তার ৪ জন সহকর্মীকে নৃশংসহ ভাবে হত্যা করা হয়েছে তারা সবাই আওয়ামীলীগের
কর্মী বা আওয়ামীলীগ পরিবারের সাথে জড়িত ছিলেন। তবে কেন খোকন সাহা নিজে আওয়ামীলীগের
নেতা এবং একজন আইনজীবী ও আইনজীবীদের নেতা হয়েও আওয়ামীলীগের কর্মী ও প্রবীন আইনজীবীর খুনীদের পক্ষ নিলেন? উনি একজন আইনজীবী হিসেবে আরেকজন আইনজীবী এবং আওয়ামীলীগের নেতা হিসেবে দলের কর্মীদের খুনিদের বাচাঁতে দায়িত্ব নিতে পেরেছে।