বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার লিপশায় বেগম খালেদা জিয়া ৮৫জন মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। ৫ জানুয়ারীতে বাংলাদেশ আওয়ামীলী যখন সুন্দর একটি নির্বাচনের পরিবেশ সৃস্টি করতে চেয়েছিল ঠিক সেই মুহুর্তে বিরোধী দলীয় নেত্রী ৫শ’২৭টা খুন এবং কলেজ পুড়িয়ে দিয়েছিল।
বুধবার বিকেল ৪টায় নবীগঞ্জের একরামপুর এলাকায় কদমরসুল পৌর আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জসিমউদ্দিন কবির স্মরণে ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে নিয়ে বহু সেনাবাহিনী পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবি সদস্যকে হত্যা করেছিল। তারা আবার একই কায়দায় একইভাবে গণতন্ত্রের কথা বলে, আদালতের প্রতি সম্মান না দেখিয়ে রায়ের আগেই রায় বিবেচনা করে পুলিশের উপর হামলা করে দেশে আবার নতুন করে অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই শক্তি, সেই নেত্রী, তথাকথিত নেত্রী খালেদা জিয়ার কারণে হাইকোর্টের সামনে আটকা পড়তে হয়েছিল। রাজনীতি মানুষের জন্য নয় আমি রাজনীতি করি আল্লাহর জন্য। রাজনীতির মানে যদি এটা হয় গণতন্ত্র হত্যা করে ক্ষমতায় আসবে তা আমি মানবোনা। আমিতো খারাপ মানুষ আমিতো আল্লাহর পাপী বান্দা আপনারাই বিচার করুন। রাজনীতির জন্য বেগম খালেদা জিয়া যতগুলো হত্যা করেছে তার দায় তাকেই নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, জসিমউদ্দিন কবির ছিলেন একজন নির্লোভ এবং সহজ সরল একজন নেতা। একজন সাচ্চা রাজনীতিবিদ বলতে যা বুঝায় জসিম ভাই তাই ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা একজন ভাল মানুষকে হারিয়েছি। জসিম ভাইকে আরো কিছুদিন বেঁচে থাকার খুব প্রয়োজন ছিল। জসিম ভাইদের মতো নেতা ছিল বলেই আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বার বার ক্ষমতায় এসেছেন।
তিনি আরো বলেন, বন্দরে কিছু নতুন নেতা গজিয়েছে। তারা নাকি অনেক বড় নেতা। ওইসব হাইব্রীড নেতাদের পাত্তাই থাকবেনা। রাজনীতি না করেই তারা পদ পেয়ে যায়।
কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় প্রধাণ অতিথি হিসেবে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন কবির মৃধা ও বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারী,বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম,বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর এমদাদুল হক ,নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশীদ,নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আলহাজ্ব আবুল জাহের,নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম,নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু,নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি এ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল,সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোহসীন মিয়া,মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইসরাত জাহান খান স্মৃতি,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন,সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান নান্নু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ জুয়েল হোসেন সাধারণ সম্পাদক তথা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহাম্মদ দুলাল প্রধাণ,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সহিদুল হাসান মৃধা,সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মোল্লা,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন প্রধাণ,মূসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাকসুদ হোসেন,বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহমেদ,মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ সালাম,নবীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম,মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা প্রধাণ, বন্দর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এম এ হাতেম,বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ,যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান কমল,২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আমির হোসেন ভুলু,২১নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সামসুল হাসান, যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির,ফারুক প্রধাণ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মাসুদ প্রধাণ ও মরহুমের কনিষ্ঠ পুত্র থানা ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত কবির ফাহিমসহ অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ ।