স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায়ও ব্যাপক সংহিসতা হয়েছে। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাউরিয়া ইউনিয়ন, জামালপুর, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, যশোর ও ভোলায় নৌকা প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৭ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার দিনের বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সন্দ্বীপ : চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাউরিয়া ইউনিয়নের একটি কেন্দ্র দখল করতে গিয়ে নৌকা প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের গুলিবর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক পুলিশ কনস্টেবল। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জামালপুর : বেলা সোয়া ১১টার দিকে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় শ্যামপুর ইউনিয়নের উত্তর বালুরচর কেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনায় রফিকুল ইসলাম (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ : ঢাকার পাশের কেরানীগঞ্জে একটি ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা ও গুলিতে শাহিদুল ইসলাম শুভ (১০) নামের ১ শিশু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। এই ঘটনায় আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হয়েছেন। নিহত শাহিদুল ইসলাম ওই এলাকার ঢালিকান্দি গ্রামের আলাল মোল্যার ছেলে।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০ দিকে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ইউনিয়নের মধুরচর সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আয়নালের ক্যাডার রানা মোল্যার নেতৃত্বে ২০ থেকে ৩০ জন অস্ত্রধারী হামলা চালালে এ ঘটনা ঘটে।
যশোর : যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের ভাতুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে বোমাবর্ষণের ঘটনায় এক চানাচুর বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। নিহত আব্দুস সাত্তার বিশে (৬০) সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। তিনি একজন ফেরিওয়ালা বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ভোলা : ভোলা সদরের রাজাপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত একজন মারা গেছেন। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নাছির সরদারের।
নিহত নাছির ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকার আবদুল জলিল সরদারের ছেলে ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী কর্মী ছিলেন। এর আগে বুধবার সকাল থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত জনতা বাজারে দফায় দফায় এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। এদের মধ্যে ২০ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দেশের ৬৩৯ ইউনিয়নে একযোগে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। সকাল ৮ টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এর আগে প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে অন্তত ২৮ জন নিহত এবং তিন হাজারের বেশি লোক আহত হয়েছেন।