ডাইং এর ক্যামিক্যাল মিশ্রিত বর্জ্যে সয়লাব মূল সড়ক ॥ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শ্রমিক-মুসল্লীসহ পথচারী
কুতুবআইলের প্যাটার্ন টেক্সটাইলের জন্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন কি প্রযোজ্য নয় ?
নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
খাল কিংবা নদীর পানিতে ডাইং কারখানার বর্জ্যে দূষিত তাই নয়, এখন ডাইংএর ক্যামিক্যালের বর্জ্যমিশ্রিত দূষিত পানিতে সয়লাব হচ্ছে মূলসড়কসহ আশপাশের অলিগলি। ফতুল্লাসহ আশপাশ শিল্পাঞ্চলের মিল-কারখানাতে যখন পরিবেশ রক্ষার জন্যে ইটিপি প্লান্ট স্থাপনের জন্যে পরিবেশ অধিদপ্তর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন ঠিক তখনি ফতুল্লার কুতুবআইল এলাকার প্যাটার্ন টেক্সটাইল কর্তৃপক্ষ সেদিকে কোন তোয়াক্কাই করছে না। অভিযোগ রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মাসোহারা দিয়ে মালিক কর্তৃপক্ষ এ ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে তাগাদা দিতে গেলে বিভিন্ন হুমকীর মুখে নীরব হয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ফতুল্লা বটতলা রেললাইনের পর থেকে শিবুমার্কেটমুখী মূলসড়কের উভয়পাশে বিপুল সংখ্যক ডাইং কারখানা গড়ে উঠেছে। এ সকল কারখানার ক্যামিক্যাল ও বর্জ্য মিশ্রিত দূষিত পানি বিভিন্ন খাল হয়ে শীতলক্ষ্যা কিংবা বুড়িগঙ্গায় পড়ছে। ইতিমধ্যে পরিবশে অধিদপ্তর ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ইটিপি প্লান্ট স্থাপনের জন্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় অনেক কারখানা কর্তৃপক্ষের অনিয়মের কারনে তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিচ্ছে।
তবে কুতুবআইল মসজিদ সংলগ্ন প্যাটার্ন ফ্যাশন কর্তৃপক্ষ অদৃশ্য খূঁিটরজোরে পরিবেশ অধিদপ্তরের এ ধরনের কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কাই করছে না। কোন ইটিপি প্ল্যান্ট স্থাপন ছাড়াই চলছে তাদের ডাইং কারখানা। ডাইংএর ক্যামিক্যাল মিশ্রিত বর্জ্য নিস্কাশনের কোন ড্রেন নির্মানের জায়গা না থাকায় মূল সড়কের উপর দিয়ে এ সকল বর্জ্য মিশ্রিত পানি নিস্কাশিত হচ্ছে। ফলে বর্জ্য মিশ্রিত দূষিত পানির উপর দিয়েই এ পথে যাতায়াতকারী হাজারো শ্রমিকসহ স্থানীয় মসজিদের মুসল্লী এবং পথচারীদের চলতে গিয়ে বিভিন্ন দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে কারখানা কর্তৃপক্ষকে তাগাদা দিলেও কোন কর্নপাত করছে না।
স্থানীয় মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী বাচ্চু মিয়া অভিযোগ করে বলেন,মহল্লাবাসীসহ মুসল্লীদের পক্ষ থেকে কয়েকবার তাগাদা দিলেও ডাইং কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টো স্থানীয় এমপি‘র নাম ভাঙ্গিয়ে লোকজনকে হুমকী দেয়ায় ভুক্তভোগীরাও এখন তেমন কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না। প্রকাশ্য সড়ক কেটে পাইপ বসিয়ে বর্জ্য নিস্কাশনের ব্যবস্থা করার পর তা উপযুক্ত না হওয়ায় এখন সেই বর্জ্য মূল সড়কের সয়লাব হলেও স্থানীয় চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্যে যোগাযোগ করা হলে ডাইং কারখানার ম্যানেজার পরিচয়দানকারী জনৈক মিজানুর রহমান জানান, এ কারখানার মালিক হারুনের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে এখন পরিচালনা করছেন আমজাদ ও মোতালেব নামের দুই অংশীদার মালিক। বর্জ্য পরিশোধনের জন্যে ইটিপি বসানো হচ্ছে । মূল সড়কের উপরে সয়লাব হওয়া বর্জ্য মিশ্রিত পানি খালে নিস্কাশনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।