নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নিজেকে সফল নয় দাবি করে নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমার কাছে অন্য কিছু চায় না। তারা চায় নারায়ণগঞ্জ থেকে অপরাজনীতি দূর হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। কিছু দু’মুখো সাপ রয়েছে যারা আমার ভাইয়ের কাছে আমার বোনে কাছে গিয়ে অপরাজনীতি করে আশান্তি সৃষ্টি করে রাখছে। তারা সংখ্যায় খুব বেশি নয়। নারায়ণগঞ্জের শান্তি প্রতিষ্ঠায় নারায়ণগঞ্জের সবাই যদি আমাকে সহযোগীতা করেন তাহলে প্রয়োজনের দু;মুখো সাপ যারা আছে তাদের পেটে পাড়া দিয়ে অপরাজনীতি দূর করবো।
বুধবার(৯ মার্চ) বাস আছর নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের শীতলক্ষ্যা কমিউিনিটি সেন্টারে বিকেএমইএ ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর যৌথ উদ্যোগে ভাষা সৈনিক মরহুমা নাগিনা জোহার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়ার ও মিলাদের পূর্বে সেলিম ওসমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর আমার মা আমাকে নারায়ণগঞ্জে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার আদেশ দিয়ে বলে ছিলেন আমার একটা ছেলে চলে গেছে নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাদের পরিবারকে ভালোবাসে নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য আমাদের পরিবারের এতো সুনাম। নারায়ণগঞ্জের অশান্তি চলছে তুমি সেই অশান্তি শেষ করবে। এটা আমার মায়ের স্বপ্ন ছিল। গত ১৮ মাসে আমি তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি নাই। আমি তার সাথে গিয়ে উচু গলায় বলতে পারি নাই আমি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি।
কথা গুলো বলার সময় সেলিম ওসমানের কণ্ঠ বার বার ভারি হয়ে আসছিলো।
সেলিম ওসমান আরও বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত আমার ৪১টি ব্যবসায়ী সংগঠন একত্রিতভাবে কাজ করছি। আমরা ব্যবসায়ীরা যদি একত্রিত থাকতে পারি তাহলে আমাদের নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিবিদদের মধ্যে, সাংবাদিক ভাইদের মধ্যে, আইনজীবী ভাইদের মাঝে এতো ভাগাভাগি কেন? কিছু দু’মুখো সাপ আছে যারা আমার ভাই আর আমার বোনে কাছে গিয়ে অপরাজনীতি করে অশান্তি সৃষ্টি করে রাখছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বাংলাদেশ ৯ মাসে নয় ৯ ঘণ্টা স্বাধীন করা সম্ভব হতো যদি আমাদের দেশের কিছু মানুষ রাজাকার না হতো। তাদের ষড়যন্ত্রেই জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই রকম ষড়যন্ত্রই নারায়ণগঞ্জে এখনও চলছে। আজকে এই শোকের দিনে আমি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে চাই। নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবী সমিতি সহ সকলের কাছে আমি সহযোগীতা চাই। আপনারা যদি আমাকে সহযোগীতা করেন তাহলে ওই কিছু সংখ্যক দু’মুখো সাপের পেটে পারা দিয়ে আমি নারায়ণগঞ্জ থেকে অপরাজনীতি দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবো। এখনও সময় আছে ক্ষমা চাইতে দোষ নেই। ভুল করার পর আল্লাহ কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ মাফ করে দেন। ক্ষমা চাওয়া এবং ক্ষমা করাও একটি মহৎ কাজ।
নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে আহবান রেখে তিনি বলেন, আমার মা আমাকে নারায়ণগঞ্জে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গোলামি করতে পাঠিয়ে ছিলেন। কিন্তু আমি আমার মায়ের সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারি নাই। আপনারা প্রতিদিন লাখো মানুষ আমার মায়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করছেন। আপনাদের দোয়ায় আমার মা হয়তো বেহেস্তে যাবেন। কিন্তু আমি আমার মায়ের স্বপ্ন বাস্তব করতে পারি নাই আমি কিন্তু নিশ্চিত জাহান্নামে যাবো। তাই সকলের কাছে আহবান রাখবো আসুন আমরা সকলে মিলে একত্রিত ভাবে কাজ করে আমাদের ঐতিহ্যের প্রাচ্যেরডান্ডি নারায়ণগঞ্জের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিল্পের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জকে একটি আধুনিক নারায়ণগঞ্জ হিসেবে গড়ে তুলি।
নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সিনিয়র সহ সভাপতি মঞ্জুরুল হক এর সভাপতিত্বে মিলাদ ও দোয়া ফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বাবলী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, বিকেএমইএ এর দ্বিতীয় সহ সভাপতি মনসুর আহম্মেদ, পরিচালক আবু আহম্মেদ সিদ্দিক, বিকেএমইএ এর সাবেক সহ সভাপতি এম এ হাতেম, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর পরিচালক মোহাম্মদ আইয়ুব প্রমুখ।