বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ফতুল্লার কাশীপুর এলাকার মূর্তিমান আতংকের নাম আতংক আল আমিন । কখনো ছাত্রলীগ আবার কখনো যুবলীগ পদ পরিচয় দিয়ে দাবড়িয়ে বেড়ায় পুরো এলাকা। প্রভাবশালী মহলের নাম ভাঙ্গিয়ে চালাচ্ছে নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড। ছাত্রলীগ ও যুবলীগে লিখিত বৈধ কোন পদ না থাকলেও নিজেকে কখনো দাবি করে কাশীপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবার কখনো দাবি করেন যুবলীগ নেতা। তৎকালীন বিএনপি জামাত ক্ষমতায় থাকাকালীন মামুন নামে এক ব্যক্তিকে সভাপতি করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। তিনি বিদেশ চলে গেলে সেই পদে কাউকে আর দেওয়া হয়নি এবং সেই কমিটিও এখনো ওই অবস্থাই বহাল রয়েছে জানান বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা। এক প্রভাবশালী নেতার মৌখিক ঘোষনায় আল আমিন নিজেকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি দাবি করেন। তবে ছাত্রলীগের কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাই তাকে লিখিতভাবে সভাপতি দেন নি। এমনটিই জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। ফতুল্লার কাশীপুর এলাকার মৃত নুরু সর্দারের ছেলে আল আমিন বৈবাহিক জীবনে রয়েছেন। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী বিবাহিত ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের সংগঠনে থাকার নিয়ম নেই। কেউ যদি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে এবং দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অপরাধ করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে জানান দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
এদিকে যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতার সাথে আলাপকালে তারা জানান, আল আমিনের যুবলীগে কোন পদ নেই। তিনি এভাবেই যুবলীগ নেতা ব্যবহার করেন। আবার কখনো ছাত্রলীগ নেতা বলেও দাবি করেন। এ ধরনের দলীয় শৃঙ্খলা ভংগ করা ঠিক না।
নাম প্রকাশ্যে অনিচিছুুক কাশীপুর এলাকার কয়েক স্থানীয়বাসিন্দারা জানান, আল আমিন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে পুরো কাশীপুর এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালাচ্ছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। দলীয় নাম ও প্রভাবশালী নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ইতিমধ্যেই বনে গেছেন অঢেল সম্পত্তির মালিক। এই আল আমিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আওয়ামীলীগের সুনাম নষ্ট হবে।
মাদক সেবনে আসক্ত আল আমিন। ২০১৮ সালে একটি অফিসের ভিতর মাদক সেবন করা অবস্থায় পুলিশের কাছে আটকও হয় এই নামধারী নেতা। পুলিশ সূত্রে জানা যায় এমনই আরো অনেক তথ্য। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই সময় প্রভাশালী মহলের তদ্ববীরে পুলিশের কাছ থেকে বেঁচে যায় আল আমিন।
আল আমিনের কাছ থেকে প্রতারণার শিকার এক ভুক্তভোগী জানান, নিজেকে অনেক বড় নেতা দাবি করেন আল আমিন। বিভিন্ন বড় বড় প্রভাশালীর নাম তার মুখে সব সময় শোনা যায়। আমার কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে কয়েক লাখ টাকা নিয়েছে। এখন আমার ব্যবসার টাকা সে দিচ্ছে না। টাকা চাইতে গেলে প্রভাশালী মহল দিয়ে হয়রানী করার হুমকি দেয় আল আমিন। বারবার টাকা চাইলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় আল আমিন। আমার ব্যবসায়ীক টাকা উদ্ধারে এবং জীবনের নিরাপত্তায় আমি প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে আল আমিনকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।