নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলাধীন কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে প্রস্তাবক ও সমর্থকের স্বাক্ষরও নকল করেছেন বলে এক গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার এই জালিয়াতির অভিযোগ উল্লেখ করে এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানায় উল্লেখিত প্রস্তাবক ও সমর্থক বাদী হয়ে ঐ প্রতারক চেয়ারম্যান প্রার্থী ভেন্ডার জিয়ার বিরুদ্ধে পরপর দুটি জিডি এন্ট্রি করেছে। যার নং- যথাক্রমে ১১১ ও ১১৫, তাং-০৩/০৫/১৬।
জানা গেছে, উল্লেখিত উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন স্থানীয় পূর্বকান্দি এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলী’র ছেলে দলিল লিখক তথা ভেন্ডার জিয়াউর রহমান জিয়া। কিন্তু দাখিলকৃত মনোনয়ন পত্রে প্রস্তাবক ও সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করেন অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ও সুন্দর আলী’র নাম। কিন্তু উল্লেখিত ঐ ভোটারগন গত ৩ মে আড়াইহাজার থানায় উপস্থিত হয়ে এ প্রস্তাবনা সমর্থন অ-স্বীকার করে নিজেরা বাদী হয়ে জিডি দায়ের করেন। জিডিতে প্রস্তাবিত অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়া তার মনোনয়ন পত্রের আমার নাম উল্লেখ করেছে একজন প্রস্তাবক হিসেবে। যা আমার বেধগম্য নয়। তাছাড়া আমার আইডি কার্ডের ফটোকপি কিভাবে সংগ্রহ করেছে তা আমার জানা নাই। তিনি উল্লেখ করেন জিয়া অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির লোক সে আমার স্বাক্ষর পর্যন্ত নকল করেছে। একই অভিযোগসহ সুন্দর আলী তার জিডিতে উল্লেখ করেছেন বিবাদী জিয়া একজন অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির লোক, সে আমার ছেলেকে পুলিশে চাকুরী দিবে বলে আমার কাছ থেকে আমার এবং ছেলের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নিয়েছে কিন্তু আমার সেই ফটোকপি ও আইডি নাম্বার ব্যবহারসহ আমার স্বাক্ষর নকল করে জিয়া তার মনোনয়ন পত্রে সম্পূর্ণ প্রতারণামূলকভাবে তার সমর্থনকারী হিসেবে আমার নাম উল্লেখ করেছে।
এদিকে আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়া এলাকাবাসী জানান, জোচ্চুরি বাটপারি সীল স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ নানা প্রকার প্রতারণার অভিযোগে অসংখ্য মামলা মোকদ্দমা হলেও শিক্ষা হয়নি আড়াইহাজারের চিহ্নিত প্রতারক জিয়া ভেন্ডারের। এবার তার চেয়ারম্যন হওয়ার খায়েস জেগেছে। কিন্তু সে জানে প্রার্থী হতে গেলে তার মত লোকের প্রস্তাবক সমর্থকও খুঁজে পাওয়া যাবে না। যে কারনে প্রস্তাবক ও সমর্থকের স্বাক্ষর করেছে নকল।
তারা আরও বলেন, উল্লেখিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়াউর রহমান জিয়া পেশায় একজন ভেন্ডার আর চরিত্রের দিক থেকে নির্লজ্জ বেহায়া গন্ডার। তার কাছে দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ যে কোন মন্ত্রী এমপি চেয়ারম্যান ও প্রয়োজনীয় সকল সরকারি কর্মকর্তার সীলমোহর পাওয়া যায়। যে কোন কর্মকর্তার স্বাক্ষরও সে হুবুহু নকল করতে পারে। এছাড়া সে এসএসসি, এইচ এসসি, বিএ, এমএ যে কোন শিক্ষাগত সার্টিফিকেট এর হুবুহু নকল করে তৈরী করে দিতে পারে এবং দেয়। এভাবে সে ইতিপূর্বে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের ভিবিন্ন জেলার অনেক চাকুরী প্রত্যাশীকে এসব জাল সার্টিফিকেট তৈরী করে দিয়েছে। উল্লেখ থাকে যে, ইতিপূর্বে সে কালাপাহাড়িয়ার সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম রফিকুল ইসলাম শান্তি’র স্বাক্ষর জালিয়াতি করে সরকারের বরাদ্দকৃত ১২০ টন গম আত্মসাৎ করেছে। এ ব্যাপারে তৎকালীন বিএনপি সরকার আমলের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানকে সে কৌশলে ম্যানেজ করে নিলেও এলাকাবাসীর কাছে সে চিহ্নিত হয়ে থাকে। প্রতারক জিয়া সে সময় বিভিন্ন জেলার প্রায় ৪১ জন যুবকের কাছে আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়া এলাকার নদী পয়স্তি পরের জমি নিজের ভূয়া মলিকানার মাধ্যমে ২ শতাংশ করে বিক্রি করে। সেই ঠিকানা ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জের কোটায় নগদ ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কনষ্টেবলের চাকুরী দেয়। সেক্ষেত্রেও জিয়া কালাপাহাড়িয়ার সাবেক ুচেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপনের স্বাক্ষর নকল করে ঐ চাকুরী প্রত্যাশীদের চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট দেয়। এমন ভুড়ি ভুড়ি প্রতারণার অভিযোগ এবং অসংখ্য প্রতারণা মামলাও রয়েছে ভেন্ডার জিয়ার বিরুদ্ধে।