বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
পোষ্ট অফিসের একখান চিঠি কখনো বয়ে আনে কান্নাভেজা খবর আবার কখনো বয়ে বেড়ায় সু-খবরের একখান কাগজ। যখন ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তির তেমন ছোয়া ছিল না তখন সুখ- দুঃখ ও গুরুত্বপূর্ন খবরের বয়ে আনার এই মাধ্যমটি ছিল মানুষের শেষ ভরসা। তেমন এক নারায়ণগঞ্জের সোনারগায়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ঐতিহাসিক বড়নগর পোষ্ট অফিস-(কোড নং-১৪৪১)। মোগড়াপাড়াবাসীর কত স্মৃতি বয়ে রয়েছে এখানে। ১৯২১ সালে স্থাপন করা হয় এই পোষ্ট অফিসটি। এক সময় কতই না যত্ন নেওয়া হতো তার। কালের বিবর্তণে মাঝে সংস্কার করা হতো এই পোষ্ট অফিসটির।
কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ এই পোস্ট অফিস সংস্থারের অভাবে উপরে টিন নষ্ট হয়ে যায় ফলে বৃষ্টির পানি পরার কারণে অফিস কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। বৃষ্টির সময়ে অফিসের ভিতর চিঠি আনতে গেলে ছাতা দিয়ে যেতে হয় এমনটিই জানান স্থানীয়রা। এখানে আবার মোগরাপাড়া ইউনিয়নবাসীর পোস্ট অফিস ও ভূমি অফিস অবস্থিত। রয়েছে ভূমি অফিসের ঐতিহ্যবাহী কাচারি মাঠ। যেখানে প্রতি মঙ্গলবার বসতো সাপ্তাহিক হাট। মাঠটি অযত্নের কারনে গাছপালার আগাছা, ময়লা আবর্জনা জমে ডেঙ্গু মশার প্রকোপ সৃষ্টি হয়। যার কারনে অনেকেই অসুস্থ্য হয়ে পরে। তাই সবার অনুরোধে পুনঃ সংস্কারে এগিয়ে আসে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও মোগরাপাড়া ইউপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী শাহ্ মোঃ সোহাগ রনি। মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ঐতিহাসিক কাচারি মাঠ ও বড়নগর পোষ্ট অফিসটি নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ করেন তিনি। ভবনটির নতুন টিন, জানালার গ্রিল ও রং করে নতুন রুপে নিয়ে আসেন এই চেয়ারম্যান প্রার্থী। মাটের চারপাশের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে গাছ লাগিয়ে চিরচেনা রুপে ফিরিয়ে আনেন তিনি। সোহাগ রনির এই উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে মোগড়াপাড়াবাসী তার জন্য দোয়া করেছেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। তারা বলেন, সব সময় তিনি যেন মোগড়াপাড়াবাসীর সেবা করে যেতে পারেন।
এ ব্যাপারে মোগরাপাড়া ইউপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী শাহ্ মোঃ সোহাগ রনি বলেন, আমরা এই স্থানটি সংস্কার করে আবার তার নিজস্ব রুপে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারায় আমি আনন্দিত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও মানুষের উন্নয়নে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন। তার নেতৃত্বে আমি যাতে মোগড়াপাড়াবাসীর সেবা করে যেতে পারি। আমরা চাই সকলেই যেন আমাদের মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মূল্যবান সম্পদগুলো রক্ষণাবেক্ষণে মাঝে ধরে রাখার চেষ্টা করে। তাহলে আমাদের মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ এক সময় একটি রোল মডেল হয়ে উঠবে এবং মোগরাপাড়াবাসী সেই দৃশ্য দেখারই অপেক্ষায় আছে। ধন্যবাদ আমার সহযোদ্ধাদের, যারা দিন রাত আমার সাথে থেকে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন এর উন্নয়ন কাজে এগিয়ে চলছে।
,