নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি শেখ শরীফুল আলমের বিরুদ্ধে টোকেন বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওসি শরিফুল আলমকে মাসিক মাসোহারা দিয়ে টোকেন নিয়ে কাঁচপুর এলাকায় পরিবহন চালাতে বাধ্য করছেন বলে একাধিক অভিযোগ করেছেন পরিবহন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। কাঁচপুর এলাকায় লেগুনা, বাস, সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনে তিনি মাসিক বিভিন্ন টাকা করে টোকেন দিয়ে থাকেন। তার নিয়ন্ত্রনে রয়েছে শতাধিক পরিবহন। যে সব গাড়ি টোকেন না নিয়ে থাকে তাদেরকে পোহাতে হয় মামলা ও রিকুইজিশনসহ নানা আইনি জটিলতা। মাসোহারা দিলেই তিনি পরিবহনের সামনের গ্লাসে ফোন নাম্বার সম্বলিত ওসি, কাঁচপুর হাইওয়ে থানা লেখা একটি স্ট্রীকার ও তার ভিজিটিং কার্ডের পিছনে স্বাক্ষর দেয়া একটি টোকেন দেন। এই টোকেন সরবারহ করে মাসিক ৫লাখেরও বেশি মাসোহারা আদায় করে থাকেন বলে একটি সূত্র জানায়। এর পুরো পক্রিয়াটাই নিজ হাতে নিয়ন্ত্রন করেন তিনি।
পরিবহন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা জানায়, ওসি শরিফুল আলম পরিবহন ব্যবসায়ীদের জন্য আতংকের নাম। টোকেন থাকলে তিনি বান্ধব আচরন করেন। টোকেন না থাকলে আইনি জটিলতা এড়াতে তাঁকে মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে চলতে হয়। না হলে কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করতে বাধা দেয় কর্তব্যরত ট্রাফিকসহ কথিত লাইনম্যানরা। এখানে টাকা দিলে ঘুরে চাকা না হলে রোড থাকে ফাঁকা।
অপর একটি সূত্রে জানা যায়, শিমরাইল-কাঁচপুর-সোনারগাঁ রুটে লেগুনা পরিবহনের সার্ভিস রুটে ওসির নিয়ন্ত্রনে রয়েছে অর্ধ্ব শতাধিক গাড়ি। এ গাড়িগুলো ওসির টোকেন ও স্ট্রীকার লাগিয়ে বীরদর্পে মহাসড়কে যাতায়াত করে। সম্প্রতি এ রোড়ে গাড়ি চালিয়ে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে পরিবহন ব্যবসায়ীরা। এদের মধ্যে অনেকে এ রোড় থেকে তাদের গাড়ি অন্য রোডে নিয়ে গেছে। তারা ওসির মাসোহারা দেয়া বন্ধ করে দেয়ায় তাদের ওই গাড়ি কাঁচপুর এলাকায় প্রবেশ করলেই হাইওয়ে থানায় নিয়ে আটক করে রাখছেন ওসি। পরে গাড়ির মালিকদের বাধ্য করছেন তার নিয়ন্ত্রনাধীণ রোডে গাড়ি চালাতে।
এ ব্যাপারে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি শেখ ফরিদুল আলম বলেন, ভিজিটিং কার্ডের পিছনে স্বাক্ষর দেয়া টোকেনের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আপনি কার্ডটি নিয়ে এসেন দেখব। আমি এখন ব্যস্ত আছি।