বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসব- প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ও আনন্দমুখর পরিবেশে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উল্টো রথযাত্রা উদযাপিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ থেকে গোপালা জিউর আখড়া থেকে শুরু হয়ে ২ নং রেলগেইট এলাকায় অন্যান্য মন্দিরের রথ যাত্র একসাথে মিলিত হয়ে শহরেরর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শেষ হয় ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ দেবের উল্টো রথযাত্রা।
রথযাত্রায় বিপুল সংখক ভক্ত ও অনুসারী অংশগ্রহণ করেন। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রথযাত্রা সম্পন্ন হয়।
রথযাত্রাটি ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুরু হয়ে পলাশী, দোয়েল চত্বর, প্রেসক্লাব, পুরানা পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড়, মতিঝিল শাপলা চত্বর, ইত্তেফাক মোড়, জয়কালী মন্দির হয়ে স্বামীবাগ আশ্রমে গিয়ে শেষ হয়।
প্রতিবারের মতো এবারও ইসকন রথযাত্রার আয়োজন করে। আটদিন পর আজ সোমবার শহরের বিভিন্ন মন্দির থেকে রথের উল্টো যাত্রা শুরু হয়। রথযাত্রার উৎসবকে কেন্দ্র করে ঈদুল ফিতরের ছুটির পর কর্মব্যস্ত নারায়ণগঞ্জের মধ্যে যানজটের সৃষ্টি হয়। রথযাত্রার রুটে ফুটপাতের দোকানগুলো আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িক বন্ধ করে দেয়। রথযাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য বিপুল সংখ্যক সনাতন ধর্মাবম্বী অংশগ্রহণ করেন। রথযাত্রার কারণে রাস্তার দুপাশে আটকে পড়া শহরবাসীও দাঁড়িয়ে উপভোগ করেন। উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে শহরে মানুষের উপচে পড়া ভিড় সৃষ্টি হয়।
সনাতন ধর্মীয় রীতিতে আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে এ রথযাত্রা শুরু হয়ে থাকে এবং একাদশী তিথিতে শুরু হয় ফিরতি রথ। প্রথম দিন যেখান থেকে যাত্রা শুরু হয় আটদিন পর আবার সেখানেই তা ফিরিয়ে আনা হয়, ভক্তদের কাছে যা উল্টো রথ নামে পরিচিত।
ভক্তদের বিশ্বাস, জগন্নাথ দেবই জগতের নাথ বা অধীশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলেই মানুষের মুক্তিলাভ হয়। সনাতন ধর্মের বিশ্বাস মতে, রথোপরি বামন বা জগন্নাথকে দেখতে পেলে জীব পুনর্জন্মের ধারা থেকে রক্ষা পায়। তাই জগন্নাথদেবের কৃপা প্রার্থনা করে সনাতন ধর্মাবম্বীরা পালন করে রথযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা।