বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ কলেজে নয় হাজার ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষা গ্রহণ করেন। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই তাহলে অচিরেই জঙ্গীবাদ দমন হবে । শিক্ষকগন ক্লাসে অবশ্যই ছাত্র ছাত্রীদের সঠিক শিক্ষা প্রদান করতে হবে যাতে করে শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের দিকে অগ্রসর না হয়। যদি কোন জায়গায় সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দেখতে পাও তাহলে তোমরা কেউ তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করবে না সরাসরি নিকটস্থ থানায় জানাবে। নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের কোন স্থান নেই। বাড়ি ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে ভাড়াটিয়ার সম্পর্কে জেনে শুনে ভাড়া দিতে হবে এবং তারা কি করে না করে তার খেয়াল রাখতে হবে। সকল জন প্রতিনিধি, এমপি, মেয়র, চেয়ারম্যান ও মেম্বার গন যার যার এলাকা ও মহল্লার খোঁজ খবর নিতে হবে যাতে করে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ গোষ্ঠী আস্তনা তৈরি করতে না পারে। আমরা সচেতন হয়ে থাকলে নারায়ণগঞ্জে আর কোন জঙ্গি আস্তানা তৈরী করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে রক্ষা করতে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ কলেজ প্রাঙ্গণে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ ও রচনা প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞা এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ব বিভাগীয় অধ্যক্ষ এ কে এম শাহনাওয়াজ , নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিএসবি) মো. ফারুক হোসেন, নারায়ণগঞ্জ কলেজ এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজী চাঁদ সুলতানা , উপধ্যক্ষ ফজলুল হক রোমান, নারায়ণগঞ্জ কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল, গভণিং বডির সদস্য মোস্তফা কামাল, ইয়ান মার্চেন্ট এর সভাপতি লিটন সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শঙ্কর কুমার সাহা প্রমুখ।
সেলিম ওসমান আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ ছিল প্রাচ্যের ড্যান্ডি আর এ মুঘল আমলে বাংলার রাজধানী ছিল সোনারগাঁও। নারায়ণগঞ্জে বসবাস ছিল সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মের অল্প কিছু মানুষ। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের কারণে তারা অনেক আগেই নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে চলে গেছেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিরা এদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করেন। ঐ সময়ে কিছু সংখ্যক অসাধু সেনা শাসকেরা এই সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ করে। নারায়ণগঞ্জে জঙ্গীবাদ বলতে কিছুই নেই কিন্ত জঙ্গীবাদ গোষ্ঠীরা এই নারায়ণগঞ্জকে ব্যবহার করে।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের পর থেকে আমরা জয় বাংলা বলতে ভূলে গিয়েছি কিন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আবারও জয় বাংলা বলতে শিখিয়াছেন। তিনি বাংলাদেশে থেকে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমন করার ঘোষনা করেছেন। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলায় জঙ্গীবাদের স্থান নেই।