বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ২০ দলীয় জোপ থেকে যে কোন মুহুর্তে আলাদা হয়ে যেতে পারে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি(এলডিপি)। সদ্য অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমনই পূর্ভাবাস মিলছে দলের একটি সূত্র থেকে। মূলতঃ এলডিপি’র মেয়র প্রার্থী হাজী কামাল প্রধাণ বিএনপি প্রার্থীর স্বার্থে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর পরও তার দলীয় নেতা-কর্মীদের দায়িত্বহীণতার কারণে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজয় বরণ করার পরিপ্রেক্ষিতেই ২০দলীয় জোট থেকে যে কোন মুহুর্তে সরে যেতে পারে এলডিপি। এল.ডি,পির নেতা কর্মীদে অভিযোগ ২০ দলের প্রধান বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী দিলেও ২০ দলের শরীক ২টি দল ও মেয়র প্রার্থী দিয়েছিলেন নাসিক নির্বাচনে। এতেই বিএনপির নেতা কর্মীদের ক্ষোভ অন্যদিকে শরীক দলের নেতা কর্মীরা বলছে নামেই শুধু মাত্র ২০ দল তা না হলে সরকার বিরোধী আন্দোলনসহ রাজনৈতিক কোন কর্মকান্ডে শরীক দল গুলোকে বিএনপির নেতা কর্মীরা ডাকেন না তাই ঐ শরীক দলের নেতা কর্মীরাও অভিমানে রাজ পথ থেকে সরে দাড়াননি এক পর্যায়ে বিএনপি এলডিপির মধ্যে ব্যাপক কিছুটা বিরোধ সৃষ্টি হয়। দলীয়ভাবে এলডিপির মেয়র প্রার্থী হাজী কামাল প্রধান তিনিও খুব হার্ড লাইনে গিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নির্দেশ দেন কামাল প্রধানকে বহিস্কার করা হউক। ¯েœহভাজন বলে কথা এল.ডি.পির মহাসচিব রেদোয়ান আহমদ বহিস্কার আদেশ দিলেও নিরব থাকেন দলের চেয়ারম্যান কর্নেল অলি আহমদ। ২০ দলের অস্তিত্ব বজায় রাখতে হলে কামাল প্রধানকে বহিস্কার করতে হবে। সংবাদ সম্মোলনের মাধ্যমে মহাসচিব কামাল প্রধানকে বহিস্কার করেন,গত ৫ ডিসেম্বর রাতে এ যেন কাটা খায়ে নুনের ছিটা রাজপথ দখল করে জীবনের ঝুকি নিয়ে যাদের জন্য রাজনীতি করেন তারাই আলোচনা ছাড়াই দল থেকে বহিস্কার করে দেন। এতে দলের নেতা কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ দানা বাধতে শুরু করে। এদিকে বহিস্কারের পরও মেয়র প্রার্থী কামাল প্রধান তার প্রচার প্রচারনা অব্যাহত রাখেন। এক পর্যায়ে বি.এন.পির সিনিয়র নেতা কেন্দ্রীয় ভাবে লবিং করে কামাল প্রধানকে বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার জন্য তড়িগড়ি করে সংবাদ সম্মোলন ডাকালেন সেখানে প্রথমেই এল,ডিপির যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিমসহ বি,এন,পির কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে কামাল প্রধানের বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করে স্বপদে বহাল রাখার ঘোষনা দেন এল.ডি.পির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম। দলের হাই কমান্ডের নির্দেশে কামাল প্রধান বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থন দেন এবং ২০ দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস দেন কামাল প্রধান। এতো কিছুর পরও বিএনপির প্রার্থীর ভরাডুবি কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না শরীক দলের নেতা কর্মীরা। তাদের মতে. বিএনপির এই নির্বাচনে পরিচালনার অভাব ছিল জেলার সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার তার ভাই মাকছুদুল আলম খন্দকারের কাউন্সিলর নির্বাচন করার কারনে তেমন কোন সময় দিতে পারেননি একই অবস্থা সাবেক দুই এমপির এড.আবুল কামাল ও গিয়াসউদ্দিনের। নগরবাসী বলছে তাদের কারো ভাই আবার কারো ছেলে নির্বাচন করায় মেয়র প্রার্থীর দিকে তাদের নজর ছিল কম যে কারণে বিএনপির প্রার্থীর পরাজয়। বিএনপির সাথে এলডিপি থাকলে শুধুমাত্র দলের চেয়ারম্যান আর সাধারণ সম্পাদক ছাড়া কোন কর্মী থাকবেন না। কারন বিএনপি’র একটা বড় দল হয়ে এতো বড় একটা হোঁচট খেলেন সেখানে শরীক দল গুলির অবস্থা কি হবে। বিশিষ্টজনদের অভিমত,কর্নেল অলি যদি ২০ দল থেকে বেরিয়ে না আসেন তাহলে এল.ডিপির নেতাকর্মীসহ সবাইকে বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা রয়েছে রাজনৈতিক ভাবে। সুতরাং দল গুছানোর জন্য এল.ডিপির মেয়র প্রার্থী কামাল প্রধানকে জরুরী ভিত্তিতে কেন্দ্রে তলব করেছেন,এল.ডিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। অন্য দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলায় এল.ডিপির প্রতিষ্ঠাতা কান্ডারী কামাল প্রধানকে কোন ভাবেই দলের প্রেডিডেন্ট ছাড়তে নারাজ কারন কামাল প্রধান এল.ডিপিকে এই নাসিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে নিয়ে দাড় করিয়েছেন তাই এল.ডিপির কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারকদের এখনই সময় ২০ দল থেকে বেরিয়ে এসে আলাদা ভাবে কিছু করার জন্য। অন্যথায় এই ভুলের জন্য চরম খেসারত দিতে হতে পারে বলে এমনটাই মনে করছে সচেতন মহল।