বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশে নিজের অধিকার ক্ষুন্ন হওয়া সম্পর্কিত যে নোটিশ এক বছর আগে সংসদ অধিবেশনে দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, তার অবস্থা কি তা তিনি জানতে চেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘একবছর আগে কিছু পত্রিকার নিউজের কারণে আমি একটা অধিকার ক্ষুন্নের নোটিশ দিয়েছিলাম। এক বছর পেরিয়ে গেছে আমি তার কোন রেজাল্ট পাইনি।’
পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, নোটিসগুলো বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে বিবেচনাধীন রয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী এমপিদের অধিকার ক্ষুণ্ন সংক্রান্ত্র একটি কমিটি আছে। কোনো এমপির অধিকার ক্ষুণ্ন হলে তিনি প্রতিকার চেয়ে ওই কমিটিতে নোটিস দিতে পারেন। ওই কমিটির সভাপতি পদাধিকার বলে স্পিকার থাকেন।
সংসদে শামীম ওসমান বলেন, ‘এক বছর আগে কিছু পত্রিকার খবরের কারণে আমি একটা অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিস দিয়েছিলাম। এক বছর পেরিয়ে গেছে। আমি তার কোনো রেজাল্ট পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত পত্রিকাগুলো আমাদের বিরুদ্ধে লিখছে, বিশেষ করে যে পত্রিকারা ১/১১ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল অথবা নবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছিল কিংবা আমার নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দাঁড় করেছিল। তারা নতুন করে আবারও সংসদ সদস্যদের চরিত্রহরণ শুরু করেছে।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার এলাকাতে আমার ব্যাপারে লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। এমনকি এখন ওই পত্রিকার সম্পাদক খোদ নিজে গিয়ে হাজির হচ্ছেন, বক্তব্য দিচ্ছেন।’
স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘যদি দেখা যায় একজন এমপি ন্যায়বিচার চেয়ে অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিস দেয়ার এক বছর পরেও কোনো রেজাল্ট নেই। তাহলে আমরা কোথায় যাব?’
শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘দেশে সৎ সাংবাদিকের সংখ্যা ৯৯ শতাংশ আর অসৎ সাংবাদিকের সংখ্যা মাত্র এক শতাংশ। অসৎ সাংবাদিকরা যারা আছেন, যারা সংবাদ মাধ্যমকে অন্য কিছু হিসেবে বেছে নিয়েছেন, যারা সংবাদপত্রকে বা সংবাদ মাধ্যমকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিবর্তন করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চান, তারা বার বার ক্ষত বিক্ষত করবেন। গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন আকার ইঙ্গিতে বিভিন্ন ধরণের নিউজের মাধ্যমে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা তারা করছেন। তারা বার বার ক্ষত বিক্ষত করবেন। তাদের বিরুদ্ধে আমি লড়াই করে অভ্যস্ত। আমি সত্যের সঙ্গে আছি। এ ধরণের নোটিশ কেউ দেয় না, আমি দিয়েছি।’
এর জবাবে স্পিকার বলেন, ‘আপনার নোটিসটি গ্রহণ করা হয়েছিল এবং সেই সঙ্গে আরও কয়েকজন এমপির নোটিস গৃহিত হয়েছে। সেগুলো বিশেষ অধিকার কমিটিতে পেন্ডিং আছে এবং নোটিসগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এরইমধ্যে আরও কয়েকটি বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিস এসেছে, সেগুলোও বিচেনাধীন আছে। সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান তিনি।