বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
অসহায় বিধবা বোন ও এক এতিম বাকপ্রতিবন্ধী শিশুর অধিকার আদায়ের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোঃ অহিদুল ইসলাম নামক এক ব্যক্তি ।
শনিবার ( ১৮ আগষ্ট ) বেলা এগারোটায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে করে তিনি জানান , ২০০৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লার মাসদাইর বেকারী মোড় এলাকার আজমল চৌধুরীর মেঝো ছেলে শাহাদাৎ উল হক চৌধুরী শরীফের আমার বোন শাহিনা আক্তার ডলির বিয়ে হয় । এর পর ২০০৯ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন তার নাম রাখা হয় শফিকুল হক চৌধুরী রাফী । জম্ম থেকেই সে বাক প্রতিবন্ধী । বিয়ের সময় আমাদের কে জানানো হয় , বাড়িতে থাকা ভবন ও সাড়ে ১৭ শতাংশ জায়গার মালিক আমার বোনের শ্বশুর আজমল চৌধুরীও তার স্ত্রী মাকসুদা খানমের নামে । ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল আমার বোন জামাই মারা যায় । আমার বোন জামাইয়ের অধিকাংশ টাকায় স্থপতি ৫ তলা দালানের সম্পূর্ণ দোতলা ২০৩০ বর্গফুট ফ্লোরটি আমার বোনের শ্বশুর আজমল চৌধুরী কয়েকজন স্বাক্ষির সামনে মৌখিকভাবে ডলি ও তার সন্তান রাফীকে দান করেন । তিনি আরো জানান, আমার বোন জামাই মারা যাওয়ার পর ২০১৩ সালে আমার বোনের দুই প্রবাসী ভাসুর ও দেবর দুইটি দান দলিলের মাধ্যমে সম্পতি লিখে নেয় । চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তারা আমার বোন ও তার বাকপ্রতিবন্ধী ছেলে কে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলে । এর পর তার উপর বিভিন্ন অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে । এর একদিন আমার বোন কাপড় চোপড় কিনতে বাড়ির বাহিরে গেলে তার রুমে ঢুকে স্বামীর রেখে যাওয়া আলমারি থেকে ১২ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার এবং সোয়ার খাট নিয়ে যায় তার শাশুড়ি ও দুই দেবর । পরবর্তীতে কোন উপায় না দেখে নিজের ও সন্তানের ন্যায় অধিকার ফিরে পেতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিজ্ঞ যুগ্ম দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে দেওয়ানি মোকদ্দমা করেছেন আমার বোন শাহিনা আক্তার ডলি । এ মামলার বিবাদীরা হলেন, মাসদাইর বেকারী মোড় এলাকার আজমল হক চৌধুরী, তার স্ত্রী মাকসুদা খানম, ছেলে মোঃ আজাদুল হক চৌধুরী আরিফ, মোঃ ফরিদুল হক চৌধুরী শ্যামল, সানাউল্লাহ হক চৌধুরী তমাল, মুসফিকুল হক চৌধুরী তাপস এবং একই এলাকার জিসান- জিদান ভিলার মালিক মোঃ মজিবুর রহমান ও সাব রেজিস্ট্রার ফতুল্লা ।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আকসির, জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী লক্ষী রানী প্রমুখ।