বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে আত্মঘাতীক পেশীশক্তি অবলম্বন করছে। সরকার প্রশাসনকে স্বচ্ছ ভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। এই সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। শেখ হাসিনা ৫ জানুয়ারী ২০১৪ সালে একটি প্রহসনের নির্বাচন করেন। এই নির্বাচনে কেউ অংশ নেন নাই। নিজেরাই বিরোধী দল তৈরির মাধ্যমেই সরকার গঠন করেন। তারা একক নির্বাচন কমিশনার বানিয়েছেন। এই নির্বাচন কমিশনার একটি ক্লাব বা মহল্লার নির্বাচন ও সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারবে না। তাদের দিয়ে তো জাতীয় নির্বাচন করা অসম্ভব। শেখ হাসিনা গত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রামে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন দেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক ধারীদের সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচনের প্রচারণা করতে দেননি। তার নিজেদের ইচ্ছে মতো দলীয় ব্যক্তিদের নির্বাচিত করেন।
শুক্রবার বিকাল ৫টায় ডিআইটি এলাকায় আলি আহাম্মদ চুনকা সিটি পাঠাগার ট্রেনিং সেন্টারে বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক সংকটের বিপরীতে দেশপ্রেমিক, বাম গনতান্ত্রিক ও শ্রেণী-পেশার মানুষের করণীয় শীর্ষক-মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক , উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড রাশিদা বেগম, শাহাদাৎ হোসেন খোকন, মোয়াজ্জেল হোসেন, রাজনৈতিক সদস্য হলেন, মোখলেছুর রহমান, আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, বহিশিখা জামালী , বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাহমুদ হোসেন , বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি আবু হাসান টিপু প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন, আজ শ্রমিকরা বেতন বোনাসের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করছে। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকারের জন্য শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম ও বিক্ষোভ মিছিল করে থাকে। তখন এই সরকার বলেন তারা বিরোধী দলের সাথে যুক্ত হয়ে এই আন্দোলন করছে। যখনই শ্রমিকরা কোন আন্দোলন সংগ্রাম করলে এই সরকার বলে তারা কোন বিদেশী শক্তির মাধ্যমে এই দেশে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত তৈরী করছে। তখন সরকারের প্রশাসন দিয়ে সাধারণ শ্রমিকদের গ্রেফতার ও অত্যাচার করে থাকে। এই সরকার শ্রমিকদের হাজার হাজার টাকা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। এই সরকার বলে আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনায় বিশ্বাসী কিন্তু আমরা মনে করি তাদের মনে মুক্তিযোদ্ধের চেতনা বলতে কিছুই নেই। গুলশানে ও শোলাকিয়া ঈদগাহে মর্মান্তিক জঙ্গী হামলা চালানো হয় একজনকে গ্রেফতার করে পরে তাকে এক রকম চক্রান্তের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়। কোন কিছুর সরকার সুষ্ঠু তদন্ত করে না। দেশের এই অবস্থা জন্য এই সরকারই দায়ী। এ দায় থেকে সরকার এড়াতে পারবে না ।