বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রের একটি মাত্র কারণ আমি হিন্দু বলে মন্তব্য করেছেন বন্দর পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত।
তিনি আরো বলেন, এবার যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হয়ে যেতে পারে’ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত। তবে সরাসরি কোনো হুমকি পাননি বলে জানান তিনি।
তিনি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। স্কুল থেকে তাকে বিতাড়িত করতেই এ ষড়যন্ত্র বলেও মন্তব্য করেন শ্যামল।
শুক্রবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবি জানায় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। ওই অনুষ্ঠানেই এসব কথা বলেন শ্যামল কান্তি।
শ্যামল কান্তি ভক্ত বলেন, “গত বছরের ১৩ মে’র আগে থেকে ষড়যন্ত্র চলছিল আমাকে স্কুল থেকে বিতাড়িত করতে। জীবন দিয়ে স্কুল গড়েছি, মাঠ করেছি, বিল্ডিং করেছি, অন্যায়কে প্রশ্রয় দিইনি। এটাই আমার অপরাধ। আমার ভুল ছিল, আমি ইলেকশন করে স্কুল কমিটি করি নাই, সিলেকশন করে করেছি। আমার কারণে স্কুলে লুটপাট করা সম্ভব হয়নি।”
তিনি বলেন, “এই ষড়যন্ত্রের একটি মাত্র কারণ আমি হিন্দু। সারাক্ষণ মেন্টাল টর্চার (মানসিক নির্যাতন) করা হচ্ছে। আমার সংসার ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। কোথায় যাব, কী করব- জানি না।”
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে গতবছরের ২৭ জুলাই শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষিক মোর্শেদা বেগম। সম্প্রতি এ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল শ্যামলকান্তিকে। পরে আদালত ২০ জুলাই পর্যন্ত তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
এ মামলার দুই মাস আগে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের অভিযোগে শ্যামল কান্তিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের নির্দেশে শারীরিকভাবে কান ধরে ওঠবস করানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে। উপস্থিত ছিলেন মহাজোটের সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায় ও শ্যামল কান্তির স্ত্রী সবিতা হালদার।