বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ঈদ উল আযহা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে ভূষি-খড় বিক্রির ধুম পড়েছে। কোরবানীর বাকি আর মাত্র দুই দিন। নারায়ণগঞ্জ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে কোরবানির পশুর হাট। আর এইসব পশুর হাটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গড়ে ওঠেছে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া এবং উটের খাদ্যের অস্থায়ী দোকান। শুধু পশুর হাট নয়, পশুর হাটের আশপাশ এলাকার রাস্তাগুলোতে ভ্যানের ওপর ভূষি, খড় এবং কাঁচা ও শুকনো ঘাস সাজিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
শনিবার থেকে পশুর এই খাদ্য বিক্রি শুরু হলেও রোব ও সোমবার (১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর) বিক্রির পরিমান বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। নারায়ণগঞ্জের কয়েকজন মৌসুমী পশুখাদ্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটি ধারনা করা যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, তারা ধানের নাড়ার খড় ছোট, বড় ও মাঝারি আকারে আঁটি করে সাজিয়ে রাখছেন। আঁটির সাইজ অনুযায়ী এর মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে। ছোট খড়ের আঁটি ১০ টাকা, মাঝারি ২৫ থেকে ৩০ এবং বড় আঁটিগুলো ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। খড়ের পাশাপাশি ছোট ও মাঝারি আকারে কাঁচা ও আধা কাঁচা ঘাসের আঁটি যথাক্রমে ১৫ থেকে ২০ টাকা এবং ৪০ থেকে ৫০ টাকা দামে বিক্রি করছেন। এছাড়া দেশি গরুর প্রিয় খাদ্য বাঁশপাতা তারা বিক্রি করছেন খাঁচা প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দামে। বাঁশপাতা গরুর পাশাপাশি মহিষেরও পছন্দের খাদ্য।
খড়, ঘাস এবং বাঁশপাতার পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে ধান থেকে তৈরি চিকন ও আধা মোটা কুঁড়া, মাসকলাই ও মুগকলাই, গম, ভুট্টার ভূষি। এর মধ্যে চিকন কুঁড়া প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, আধা মোট কুঁড়া বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। আর কলাইয়ের ভূষি ৫৫ থেকে ৬০ এবং গম ও ভুট্টার ভূষি বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৫০ ও ৬০ টাকা কেজি।
অন্যদিকে দোকানগুলোতে ছাগলের জন্য বিক্রি হচ্ছে কাঁঠালের পাতা ও চিকন ঘাস। এছাড়া ভেড়ার জন্য এক ধরনের ঘাস ও বিভিন্ন গাছের পাতা বিক্রি হচ্ছে। উটের জন্য বিক্রি হচ্ছে কুল গাছের পাতা।
জানা যায়, আমার দোকানে কাস্টমার এলে তাদের ফেরত যেতে দেন না ব্যবসায়িরা। কোনো রকম লাভ হলেই বিক্রি করে দেন তারা। প্রতিবছর গবাদি পশুর খাদ্য বিক্রি করে ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ করেন। আশা করা যাচ্ছে, এবার বৃষ্টি না হলে লাভের পরিমান আরও বেশি হবে।