বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক মহিলা শ্রমিক ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই ধর্ষিতা থানায় অভিযোগ দেয়ার ২৪ ঘন্টা পর ও রহস্যজনক কারণে মামলাটি রেকর্ড করেনি পুলিশ। এ দিকে ধর্ষিতাকে অভিযোগ তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করছে স্থানীয় নেতারা। নেতাদের চাপে পুলিশ ধর্ষিতাকে ১৮ ঘন্টা তাদের জিম্মায় রেখেও মেডিকেল পরীক্ষা না করেই বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে ধর্ষিতা (১৬) তার কর্মস্থল রূপগঞ্জেরকাতরা এলাকার ফকির ফ্যাশন থেকে ডিউটি শেষে বের হয়ে আড়াইহাজার থানাস্থ হাজীবাড়ী পল্লী পার হাউজের সামনে আসলে সেখান থেকে উপজেলার ঝাউগড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী বখাটে ছেলে রানা(২৫), একই গ্রামের জাকারিয়ার ছেলে তৈয়বুর (২০) এবং আড়াইহাজার পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আঃ আউয়ালের ছেলে পলাশ (১৯) তাকে জোর পূর্বক মুখে গামছা বেঁধে একটি সিএনজিতে তুলে ঝাউগড়া গ্রামে নিয়ে আসে। সেখানে তারা আওয়ামীলীগ নেতা আউয়ালের বাড়ীর তৃতীয় তলায় একটি কক্ষে তাকে আটকে রাখে। পরে তাকে গলায় ছুরি ধরে এবং হত্যার হুমকী দিয়ে দুই বন্ধুর সহযোগিতায় রানা তাকে বলপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বাকী দুই বন্ধু পলাশ ও তৈয়বুরও তাকে ধর্ষণের চেস্ঠা করে। ওই সময় ধর্ষিতা কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে এসে তার বাড়ীর লোকজনের সঙ্গে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলে। পরে শনিবার ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। শনিবার রাতে এসআই আরিফ ধর্ষিতাকে নিয়ে ঝাউগড়া এলাকায় ধর্ষণের স্থান আওয়ামীলীগ নেতার বাড়িতে যায়। সেখান থেকে ফিরে এসে পুলিশ মামলাটি রেকর্ড না করে এবং ধর্ষিতার মেডিকেল পরীক্ষা না করেই ধর্ষিতা মেয়েটিকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়।
ঝাউগড়া গ্রামের লোকজনদের সাথে কথা বললে তারা জানান,রাজনৈতিক প্রভাবে একটি মহল ধর্ষিতার ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার জন্য এবং ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য মামলা নিতে সময় ক্ষেপন করছে।
এ ব্যাপারে দুপুরে এএসপি গ সার্কেল আবির হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান,থানায় ধর্ষণ মামলা গ্রহন করা হয়েছে। তবে রবিবার বিকাল ৩ টা ২০ মিনিটে আড়াইহাজার থানার ইন্সপেক্টর(তদন্ত) সুরুজ আহমেদের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি জানান ওসি নারায়ণগঞ্জে আছে। তিনি থানায় আসলে মামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।