আসন্ন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে
জাহাঙ্গীর নৌকা,বুলবুল ধানের শীষের প্রার্থী হলেও সম্ভাবনা উজ্জল হেভিওয়েট প্রার্থী দেলোয়ার প্রধাণের
নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী মাঠ সরব হয়ে উঠেছে। শনিবার বিকেলে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারকদের আলোচনার মধ্য দিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে সরকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হলেও হেভিওয়েট প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন প্রধাণের সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়ে কতটা সফল হতে পারবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। রাতারাতি ধনী হওয়া জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হলেও দেলোয়ার প্রধাণের বিগত দিনের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড এবং ইউনিয়ন জুড়ে পরিচিতির কারণে জাহাঙ্গীরের আশায় গুঁড়ে-বালি পড়তে পারে বলে এমনটাই মনে করছে ভোটারদের অনেকেই। অপরদিকে বিএনপি’র ধানের শীষের প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে যদিও বুলবুল আহাম্মদকে মনোনীত করেছে কিন্তু ইউনিয়ন জুড়ে তেমন একটা পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় সম্মানজনক ভোট সংগ্রহের সম্ভাবনা খুবই কম। বিপরীতে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউদ্দিন শিশির কিছুটা আলোচনায় নাম উঠে আসার অনেকটা সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সে দেলোয়ার প্রধাণের পরের স্থানটিই দখল করে নেন। এছাড়াও সর্বশেষ অনুষ্ঠিত বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন। সর্বোপরি বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের প্রার্থী হওয়ার সুবাদে দ্বিতীয় অবস্থানের লড়াইয়ের সম্ভাবনা অনেকটা উজ্জল তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইতিহাসে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় হতে অদ্যাবধি যে ক’জন চেয়ারম্যান প্রতিনিধিত্ব করেছেন তাদের মধ্যে দেলোয়ার প্রধাণ আশানুরূপ উন্নয়নে সক্ষম হয়েছেন। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে,বিগত নির্বাচনে ফরাজীকান্দা জাতীয় পার্টির নেতা রাইসুল হক,সাবেক সাংসদ এস এম আকরামের ভাই জিএম মাসুদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। রাইসুল হক উল্লেখযোগ্য তেমন কোন উন্নয়ন করতে পারেনি। অন্যদিকে জিএম মাসুদ নির্বাচিত হওয়ার পর পরই পাড়ি জমান প্রবাসে। তার অবর্তমানে তৎসময়কার মেম্বার ঘারমোড়া এলাকার বাসিন্দা মাঈনুদ্দিন আহাম্মদ দীর্ঘ দিন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালণ করে ঠিকই কিন্তু কলাগাছিয়া ইউনিয়ন এলাকার কোন উন্নয়নই করতে পারেননি। ঠিক সেই মুহুর্তে ২০১১ সালে নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদকে উন্নয়নে পরিপূর্ণ করে তোলেন আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন প্রধাণ। দুষ্ট লোকদের অনেকেই দেলোয়ার প্রধাণকে নিয়ে নানা রশিকতা করলেও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিসেবে দেলোয়ার প্রধাণ নিজেকে ভিন্নভাবে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর দেলোয়ার প্রধাণ ২নং মাধবপাশা হতে কান্দিপাড়া সংযোগ সড়ক নির্মাণ,সেনপাড়া হতে বুরুন্দি পর্যন্ত আরসিািস ঢালাই সড়ক,২নং মাধবপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ১নং মাধবপাশা মোজাম্মেল হকের মাদ্রাসা সংলগ্ন সেনপাড়ার মোড় পর্যন্ত আরসিসি সড়ক,আলীনগর ব্রীজ,কবরস্থান,কান্দিপাড়া হতে নরপদী রাস্তা ভরাট এবং রাস্তার ঢালাই কাজ প্রক্রিয়াধীন,নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একেএম সেলিম ওসমানের সহায়তায় কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে উচ্চ বিদ্যালয় নির্মাণ,এলাকাবাসীর সুবিধার্থে ব্যাক্তিগত অর্থায়নে মাদ্রাসা,কবরস্থান,কিন্ডার গার্টেণ নির্মাণ এবং ইউনিয়ন পরিষদ ভবন আধুনিকায়নসহ বিভিন্ন সময়ে যুবকদের কম্পিউটার ও নারীদের মাঝে সেলাই প্রশিক্ষণ প্রদান করে বেশ আলোচনায় উঠে আসেন। তুলনামূলকভাবে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আমূল পরিবর্তণ করে অনেকটা সুসংহত করে তুলেছেন অপ্রতিদ্বন্দী এ প্রার্থী। তার সমর্থকরা আতœপ্রত্যয়ী কন্ঠে উল্লেখ করেন,দেলোয়ার প্রধাণ আগামীতে ব্যাক্তি ইমেজে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখবেন। দেলোয়ার প্রধাণ নিজেই এখন প্রতীক তার কোন প্রতীকের প্রয়োজন নেই। তারা ভোটারদের প্রতি অনুরোধের সুরে বলেন,যেখানে দেলোয়ার প্রধাণের উন্নয়ন পুরোপুরি দৃশ্যমান সেখানে ভোটাররাই বিবেচনা করবেন আগামীতে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মুকুট কার মাথায় পড়ানো উচিত।