নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, সাত খুনের মামলা থেকে অব্যহতি পাওয়া সেই হাজি ইয়াছিন মিয়ার সন্ত্রাসী আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তার সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বাহিনী একটি নির্মনাধীন ভবনে ৫লাখ টাকা চাঁদাদাবী করলে এর জেরে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ রোকন (৩২) নামে এক সন্ত্রাসী চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক রোকন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়ার সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বাহিনীর অন্যতম সদস্য। সোমবার দিবাগত রাতে মিজমিজি পশ্চিম পাড়া এলাকায় হাজী ইয়াছিন মিয়ার ব্যাক্তিগত কার্যালয়ে অভিয়ান চালিয়ে তার সামনে থেকে রোকনকে আটক করে। এ ঘটনায় ওই ভবনের মালিক ব্যবসায়ী হুমায়ন কবির ইয়াছিনের প্রধান সেনাপতি আনোয়ার হোসেন আশিকসহ ১১সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্রমতে, সোমবার দুপুরে নাসিক ২নং ওয়ার্ড সাহেবপাড়া এলাকায় নির্মানাধিন একটি ভবনে গিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়ার লোক পরিচয় দিয়ে কয়েক দিন ধরে কয়েক যুবক হুমায়ুন কবিরের কাছে ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ার সোমবার দুপুরের দেশী অস্ত্র নিয়ে রোকন, মনির, শাহাজাহান, স্বরন, লিটন, রাসেল, হেকিম, মিজান, রাব্বি, আনোয়ার হোসেন আশিক ও আসলাম এসে নির্মানাধিন ভবনের কাজ বন্ধ করে দেয়। এ সময় বাধাদিলে শ্রমিক মনির ও আঃ রাজ্জাককে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাত্ব আহত করে। এসময় তারা হুমায়ুনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা লুটে নিয়ে হুমকি দেয় আগমী ৩ দিনের মধ্যে ৫ লাখ টাকা না দিলে এখানে কোন বাড়ি নির্মান করতে পারবেনা।
পুলিশের একটি সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী হুমায়ুন কবির চাঁদাবাজির বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের এমপি আলহাজ্ব শামীম ওসমানকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জানান। পরে তিনি (শামীম ওসমান) হুমায়ুন কবিরের মোবাইল দিয়ে নিজ পরিচয় গোপন রেখে ওই সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের সাথে কথা বলেন। এ সময় রোকন শামীম ওসমান এমপি, মন্ত্রী ও আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ব্যাঙ্গ করে ওই চাঁদার দাবীতে অনড় থাকে। পরে শামীম ওসমান এমপি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
এদিকে এলাকাবাসী জানায়, হাজি ইয়াছিন মিয়া সাত খুনে ঘটনায় পর এলাকায় ফিরে টাকার নেশায় অপরাধ কর্মকান্ডের সব সেক্টর তার দখলে নিতে মরিয়া হয়ে পড়ে। একে একে দখল করে নেয় মৌচাক, শিমরাইল মোড়, সানারপাড় ও আদমজী ইপিজেড এলাকার কয়েকটি গামের্ন্ট কারখানা, পরিবহন সেক্টর ও ভূমি। এ কাজে আধিপত্য বিরাজ রাখতে ইয়াছিন মিয়া ফিরিয়ে আনেন সাত খুনের প্রধান আসমী নুর হোসেনের পালিত কয়েক সন্ত্রাসীকে। তার নিজ বাহিনিতে যোগ দেওয়ান সাতখুন মামলা থেকে অব্যহতিপ্রাপ্ত সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শ্রমিকদলের সাধারন সম্পাদক বিএনপি নেতা হাবিব হত্যা মামলার ২ নং আসামী আনোয়ার হোসেন আশিককে। এরপর হাজী ইয়াছিন মিয়া আশিককের হাতে সকল সন্ত্রাসী ও অপরাধ কর্মকান্ডের সেক্টর দেখার ভার দিয়ে অলিখিত সেনাপতির দায়িত্ব দেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য হাজ্বি ইয়াছিনের মোবাইলে ফোন করলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মু.সরাফত উল্ল¬াহ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ রোকনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।