বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, একটা সময়ে বলতাম নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। এ নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে। আজকে এ দলটা যারা গঠন করেছে আমরা কি তাদের আদর্শ বহাল রাখতে পেরেছি। আমরা এখন ক্ষমতালিপ্সু। অনেকে আওয়ামী লীগ সাজচ্ছি আবার অনেকে যারা আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে তাদের সাথে মিটিংও করছেন। আবার দেখবেন তাদের ধাক্কার ঠেলায় আপনি আমার কাছে আসতে পারবেন না। আমি শামীম ওসমান, আমি সব এলাকার খবর রাখি। নিজেদের মধ্যে কামড়া কামড়ি বন্ধ করুন। এ মাসে নারায়ণগঞ্জে অনেকে নেত্রীকে গালাগালি করে যাচ্ছেন। যারা এগুলো বলছেন তারা এর পর দিন গিয়ে দেখা যায় আমার দলের নেতাদের সাথে মিটিং করছেন।
শনিবার (১২ মার্চ ) সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল চৌধুরীবাড়ী এলাকায় রয়েল প্যালেস কমিউনিটি সেন্টারে এ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের শরীরে চর্বি জমে গেছে। সাধারণ কর্মীরা কষ্ট বুকে চেপে বসে আছে। কারন কেউ ডাক খোঁজ করে না। সামনে যখন আঘাত আসবে আমার মনে হয় না আপনারা প্রস্তুত। আমরা এখন নিজেদের লোকদেন শায়েস্তা করতে চেষ্টা করছি। আমরা আমাদের লোকের বিরুদ্ধে কাজ করছি, আমাদের কাজই হয়ে যাচ্ছে টাকা পয়সা দিয়ে একে ওকে শায়েস্তা করা। কারণ কথা আছে নাই কাজ খৈ ভাজ। আমরা ভাবছি না সামনে কী আসছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, পুরো পৃথিবী আজ অস্থির। আজ তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের আভাস, সব জায়গায় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে কিছু লোক আছে যখন দেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা নেয়া হয় তারা খুব খুশি হয়, হাততালি দেয়। এরা হল গোলাম, গোলাম কী করে। আমরা দু’শ বছর ব্রিটিশদের গোলামি করেছি পরে পাকিস্তানের গোলামি করেছি। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছে কিন্তু আমরা গোলামি থেকে মুক্তি পাই নি। তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে মোশতাকের বংশধররা। মোশতাক সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি করতে এসেছি, ধান্ধাবাজি করতে আসিনি। এমপি হওয়া না হওয়া সাবজেক্ট না। আমরা চাই জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাক। আমরা রাস্তায় গুলি খেতে খেতে মার খেতে খেতে কৈশর যৌবন কেটে গেছে। পরে শেখ হাসিনা এসে হাল ধরলেন, স্বপ্ন দেখালেন। এই মুহুর্তে আমার জীবনের চাওয়া হল ভবিষ্যতের জন্য একটা সুন্দর বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা এখন আওয়ামী লীগের নয়, তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যত। আঘাত কালও আসতে পারে কিছুদিন পরেও আসতে পারে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী সহ-সভাপতি মোঃ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইয়াছিন মিয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নাসিক কাউন্সিল মতিউর রহমান মতি, নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ইফতেখার আলম খোকন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, আওয়ামীলীগ নেতা মহসিন ভূইয়া, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক ভূইয়া রাজু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাঈল রাফেল সহ অন্যান্যরা।