বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আমরা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মী, জননেতা এমপি শামীম ওসমান ছাত্রলীগের প্রেরণার উৎস বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের ওসমানী স্টেডিয়াম মাঠে ছাত্রলীগের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিশেষ এ কর্মীসভায় বিশেষ কর্মীসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা দেশরত্ন শেখ হাসিনার কর্মী, আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আমরা টানা তিনবার ক্ষমতায় আছি এটি নিয়ে আত্মতৃপ্ত হওয়ার কোন সুযোগ নাই। আমাদের এখনো অনেক লড়াই বাকি রয়ে গেছে, আমাদের এই লড়াইয়ের শেষ দেখতে হবে। যারা জাতির জনকের হত্যাকারী, যারা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যার চেষ্টা করেছে তারা এখনো রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয় রয়েছে। গণতন্ত্রের ভেদ গড়ে অনেকেই খুনি ও দুর্নীতিবাজদের পূনর্বাসনের রাজনীতি বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ কখনোই মেনে নিবে না।
তিনি আরও বলেন, আজকে আমাদের জন্য আনন্দের দিন। আজ আমাদের মাঝে এমন একজন উপস্থিত আছেন যিনি আমাদের সবসময় প্রেরণা এবং শিক্ষা দেয় কীভাবে দেশরত্ন শেখ হাসিনার কর্মী হতে হয়। আজ তিনি মঞ্চে স্থান না নিয়ে কর্মী হিসেবে আমাদের সামনে উপস্থিত রয়েছেন একেএম শামীম ওসমান এমপি সাহেব। আমাদের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদ বড় নয়। আমাদের সবচেয়ে বড় পদ আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। তৃণমূলের প্রতি আমাদের জবাবদিহিতা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আমরা ব্যবসায় করতে পারবো। সে বাস্তবতা আজ তৈরি হয়েছে। সারা দেশে ১৩ হাজার ডিজিটাল ল্যাব তরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষের কথা ভাবেন। স্কুলে যে ছেলেটি লেখাপড়া করছে তার পাশাপাশি মাদ্রাসায়ও আজ ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সে যেন দক্ষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে আমরা সবচেয়ে বেশি আয় করবো আইসিটি খাত থেকে। সে লক্ষ্যে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা কমিটিতে আসার পরে এই প্রথম কোন জেলায় আমরা কমিটি দিতে যাচ্ছি, এর আগে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কোন জেলায় কমিটি দেওয়া হয়নি। অনেক আশা প্রত্যাশা নিয়ে আমরা নারায়ণগঞ্জকে বেছে নিয়েছি। এখানে সব পক্ষের বক্তব্য আমরা শুনেছি। ছাত্রলীগের কমিটি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হবে, কার্মীসমাবেশ কিংবা সম্মেলনের মাধ্যমে হবে। ঢাকায় বসে প্রেষ রিলিজের মাধ্যমে ছাত্র লীগের কমিটি হবে না।
তিনি আরো বলেন, সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে। আপনাদের মনে রাখতে হবে আধিপত্য আমাদের শক্তি নয়, দাপট আমাদের শক্তি নয়, ক্ষমতা আমাদের শক্তি নয়, দম্ভ আমাদের শক্তি নয়। আমাদের শক্তি হচ্ছে নৈতিকতা, বিণয় ও ভালবাসা। কেন্দ্রীয় নেতাদের মনরক্ষা করার রাজনীতি না করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনরক্ষার রাজনীতি করতে হবে ছাত্রলীগের কর্মীদের। ব্যাংক ব্যালেন্স বানানো বাংলাদেশ ছাত্রলীগের লক্ষ্য নয়, কোথায় টেন্ডার হচ্ছে সেটার খবর রাখা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের লক্ষ্য নয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের
তিনি আরো বলেন, ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়ানো ছাত্রলীগের লক্ষ্য নয়। ছাত্রলীগ কর্মীরা আদর্শর বলিয়ান হবে, ভালো ছাত্র হবে। ছাত্রলীগ কর্মী হয়ে কোথায় টেন্ডার হচ্ছে খোঁজ নেওয়া, এটা ছাত্রলীগের কাজ নয়। নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে আমরা ছাত্রলীগ করি না। ছাত্র সমাজের জন্য ছাত্রলীগ করি। ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়াতে আমরা ছাত্রলীগ করি না, আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন সুন্দর শিক্ষার পরিবেশ পায় সে লক্ষ্যে আমরা ছাত্রলীগ করি। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। গণতান্ত্রিকভাবে চলতে হবে। ছাত্রলীগ প্রবলেম তৈরি করবে না, প্রবলেম সলভ করবে। এটাই ছাত্রলীগ কর্মীদের লক্ষ্য।
সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, ২০২৪ সালে নৌকাই হবে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতীক। আজ তরুণ প্রজন্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনই আপনারা আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে উপহার দেবেন এবং নারায়ণগঞ্জ যে আওয়ামী লীগের দুর্বার ঘাটি সেটা আপনারা আপনারা আবারও প্রমাণ করবেন। আপনারা এই বাংলাদেশে ওই খালেদা জিয়ার মত পাকিস্তানি ভাব ধারায় রুপান্তর করবেন কী করবেন না এটা আপনাদের ওপর নির্ভর করবে। আপনারা আগামী নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দিবেন। আমি বিশ্বাস করি আপনার জীবনের প্রথম ভোটটি হবে নৌকার পক্ষে। যে নৌকা জাতির পিতার নেতৃত্বে স্বাধীনতা এনে দেয়ার প্রতীক।
এ সময় মঞ্চে না বসে সিনিয়র নেতারা নিচের সারিতে বসে ছাত্রলীগের নেতাদের বক্তব্য শোনেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, অয়ন ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুহাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দনশীলসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাঈল রাফেল, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু সহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সকল সিনিয়র নেতারা।