বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়নগঞ্জ মহানগর দক্ষিণ কুমুদিনী বাগান এলাকার নির্যাতিতা সোনিয়া নারায়নগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ করার পর আসামীদের হুমকী-ধামকীতে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
ধর্ষন ও ৬ মাসের সন্তান হত্যার গুরুত্বও অভিযোগে অভিযুক্ত আসামী রবীন (২২), পিতা- মৃতঃ আবুল কাসেম লালু, সেলিম (২৬) ওরফে বোটকা সেলিম, পিতাঃ মৃত. শাহাজাদা সরদার, সর্বসাং- ৭২ নং নবাব সিরাজদৌল্লা রোড, দক্ষিণ কুমুদিনী বাগান শ্রমিক কলোনী। বাদিনী মামলা করার পর আসামীদ্বয় পলাতক আছে। থানা পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এখনো আনতে পারেনি। আসামীদ্বয় পলাতক থেকে তাদের পরিবারের লোকজন ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হতদরিদ্র অসহায় বাদিনীর পরিবারের সকল সদস্যকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে।
এই বোটকা সেলিম আটকে পরা পাকিস্তানের সংগঠন ”Òs.p.g.p.r.c” র, বর্তমান সেক্রেটারী ও ভ’ইফোড় চাঁদাবাজ সংগঠন কুমুদিনী বাগান যুবকল্যাণ সঙসদের সেক্রটারী। এই দুই পদের দাপট ও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে সে ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ হেন কোন অপরাধ নাই কারা যা করিয়া বেড়ায়। জীবনে কোন চাকুরী না করা বেকার এই বোটকা সেলিম কুমুদিনী মেইন গেইট সংলগ্ন হানিফের চায়ের দোকান, বিল্লালের চায়ের দোকান, কুমুদিনী ক্যান্টিনে সারাদিন বসে থেকে কুমুদিনীতে কর্মরত শ্রমিক ও শ্রমিকদের সরদারদেও হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করে। ওয়াজ মাহফিল ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে কুমুদিনী পাটের ব্যবসা করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ডন চেম্বারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, খানপুরের চৌরাস্তায় অবস্থিত বাস কাউন্টার, ক্লিনিক,হার্বাল সেন্টার ও মহল্লায় বিচার শালিস করার উসিলায় সে ও তার চাঁদাবাজ বাহিনী, চাঁদাবাজি করিয়া বেড়ায়।এই চাাঁদাবাজির টাকা দিয়ে প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে সাহেবীহালে জীবন যাপন করে।
বোটকা সেলিম প্রতারনার মাধ্যমে বিয়ে করা তার স্ত্রীর কাছ থেকে চাহিদামত যৌতুক না পেয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তালাক দিয়ে দেয়।
মাস তিনেক আগে কুমুদিনী বাগানের ইদ্রিস সরদারের মেয়ের সাথে জবরদস্থি অনৈতিক গড়তে চাইলে মেয়েটি বাধা দিলে তাকে বেদম প্রহার করে। মেয়েটি লাজলজ্জায় ফাঁসিতে ঝুলে আতœহত্যার চেষ্ঠা চালায়, পাড়াপ্রতিবেশী টের পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে মেয়েটির জীবন রক্ষা করে। মেয়েটির পরিবার থানা এসে মামলা করতে চাইলে বোটকা সেলিম তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বাধা প্রদান ও হুমকি ধামকি দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়। বোটকা সেলিমের এক ভাই শামীম দেড় লক্ষ টাকা থরচ করে ঘর মেরামত করেন। সেলিমের চাহিদামত টাকা দিতে না পারায় বউ সহ ভাইকে বের করে দেয়। এই বোটকা সেলিমের এক বড় ভাই নাসিম মাদক মামলার আসামী। চাচাতো ভাই কায়েস মাদকাসক্ত, তার মাদক গ্রহনের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ধর্ষন মামলার আসামী রবীন তার চাচাতো ভাই।
এই বোটকা সেলিম মহানগর এক নেতার অনুসারী ও নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে দাবী করে। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়া ও কুমুদিণী বাগানের কিছু অসৎ মুরুব্বী নামধারীদের আস্কারায় বার বার অপরাধ করে পার পেয়ে যায়। কুমুদিনী বাগানের নিরীহ জনগন তার ভয়ে সব সময় ভীত থাকে। এই প্রতারক,চাঁদাবাজ, ধর্ষন ও ৬ মাসের গর্ভেও সন্তান হত্যা মামলার আসামী। বিভিন্ন অপরাধে অপরাধীর কাহিনী বলে শেষ করা দুস্কর। কুমুদিনী বাগানের নিরীহ জনগনের দাবী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সঠিক তদন্তপূর্বক এই বোটকা সেলিমের অপরাধী পরিবারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে তাদের কঠিন সাজার মাধ্যমে এই মানবরুপী দানবের হাত থেকে অসহায় কুমুদিনী বাগানবাসীকে রক্ষা করায়।
নির্যাতিতা সোনিয়ার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, আমরা এ ব্যাপারে পুলিশের সাথে আমরা একাধিকবার যোগযোগ করা স্বত্ত্বেও তারা আমাদের কোন রকম সহযোগিতা করছেন না, বরং তারা যথেষ্ঠ গড়িয়সী করছেন। আমরা গরীব মানুষ ,বড়ই অসহায় তাই বলে কি আমরা উপযুক্ত বিচার পাবো না। সুষ্ঠু আইনগত ব্যবস্থা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে নারায়নগঞ্জ সদর মডেল থানার এ.এস.আই রফিকের সাথে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে দুই পক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।