বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৭ নং ওয়ার্ডের ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থী, সফল কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পথে। ওয়ার্ডের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় বাবুর সমর্থনে চলমান পথসভা, মিছিল-মিটিং, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ নামছে মানুষের ঢল। যেখানেই যাচ্ছেন পাচ্ছেন মানুষের অফুরন্ত ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন।
ওয়ার্ডবাসীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, গত ৫ বছরে বাবু আমাদের জন্য যা করেছে তা দেখে অন্য ওয়ার্ডের বাসিন্দারা অনেকটা আফসোস করে বলেছেন কেন আমরা ১৭ নং ওয়ার্ডের ভোটার বা জনগন হলাম না। উন্নয়ন, এলাকাবাসীর সুখে-দু:খে সর্বদা বাবুকে আমরা পাশে পেয়েছি। করোনাকালীণ সময়ে দিনরাত ২৪ ঘন্টা মানুষের খোঁজ-খবর নিয়ে, মানুষের জন্য বাড়িতে বাড়িতে খাবার পৌছে দিয়ে খাবারের ফেরিওয়ালা উপাধি পেয়ে অনেকটা ইতিহাস সৃষ্টি করে দেশব্যাপী আলোচিত হয়েছে আমাদের বাবু। ইনশ্আাল্লাহ এবারও বাবুর জয় হবে আগের চেয়েও বেশী ভোটের ব্যবধানে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন জানান, কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু ভাইয়ের অবদান ওয়ার্ডবাসী কখনোই ভুলবে না। অত্যন্ত পরিশ্রমী বাবু ভাই সিটি কর্পোরেশনের অন্য যে কোনো ওয়ার্ডের তুলনায় বেশী উন্নয়ন করে ১৭ নং ওয়ার্ডকে একটি আধুনিক ওয়ার্ড হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। রাস্তা-ঘাট, ড্রেন সংস্কার সবই করেছেন তিনি। করোনাকালে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, অসহায়দের পাশে দাড়ানোসহ মানুষের সেবায় নারায়ণগঞ্জে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশী তাদের মধ্যে বাবু ভাই নি:সন্দেহে অন্যতম একজন একথা জানা সবারই। তাঁর বিকল্প হিসাবে কেউ নেই এ ওয়ার্ডে এমনটাই জানান তিনি।
বৃদ্ধ রহমান মিয়া জানান, শক্তি প্রতিদ্বন্দি না থাকা, গত ৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম, উন্নয়ন ও এলাকাবাসীর পাশে থাকার স্বীকৃতিস্বরূপ হেসে খেলেই এবার বিজয়ী হবে আমাদের বাবু (আব্দুল করিম বাবু)। করোনাকালীণ সময়ে যখন অনেকে ঘর থেকে বের হন নাই, তখন নিজের ওয়ার্ড এমনকি অন্যান্য ওয়ার্ডের মানুষের পাশে দাড়িয়ে মন জয় করে নিয়েছে বাবু। ফলে বাবুই আবার কাউন্সিলর হবে এমনটাই দাবী তার।
নারী ভোটার সোহানা আক্তার বলেন, যে কোনো বিপদে-আাপদে, যখনই ডাকি তখনই কাছে পাওয়া যায় বাবু ভাইকে। করোনাকালেও এলাকাবাসীর সেবায় ব্যস্ত সময় পার করেছে সে। বাবু ভাই জনগনের প্রার্থী, বাবু ভাই আমাদের প্রার্থী জয় তাঁর হবেই।
এদিকে জানা গেছে, ১৭ নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বাবুর তুলনায় শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দি নেই। যারা আছে তাদের ২/১ জন কে এলাকাবাসী ভালো করে চিনেও না। একজন বেশ বিতর্কিত ব্যক্তি হিসাবেই এলাকায় পরিচিত। তাছাড়া সাম্প্রতিককালে দেশের সবচেয়ে কঠিন সময়, ক্রান্তিকাল তথা করোনাকালে এই প্রার্থীদের সবাই ছিলেন লাপাত্তা। ফলে বর্তমান কাউন্সিলর বাবুকে বাদ দিয়ে নতুন কাউকে কাউন্সিলর করার মতো ভুল করবে না এলাকাবাসী এমনট্ইা দাবি তাদের। ফলে অনেকটা নির্ভার হয়ে খুশীর আমেজে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন বাবু।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু বলেন, আমার উন্নয়নের স্বাক্ষী হচ্ছে আমার এলাকার মানুষ। আমার উন্নয়ন এবং পাশে থাকার বিষয়টি মনে রাখলে এলাকাবাসী অবশ্যই আমাকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী করবে বলে আমি আশাবাদি। যখন মানুষ ঘর থেকে বের হয় না সেই বিপদের মুহুর্তে আমি মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। একই সাথে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি, মেজর কোনো কাজ বাকী নেই আমার ওয়ার্ডে। আমি আশাবাদি যে, জনগন এসকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই আমাকে পুনরায় নির্বাচিত করবে।